পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসিয়ে প্রকল্প তদারকি করা হচ্ছে। আমরা প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে যাচ্ছি। সামনে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসিয়ে মন্ত্রণালয়ে বসে প্রকল্প তদারকি বাড়ানো হবে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে অনেক প্রকল্প চলমান। এসব প্রকল্প এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসিয়ে প্রকল্প পরিচালদের সঙ্গে কথা বলবো। প্রযুক্তি বসে নেই আমরাও এর সঠিক ব্যবহার করবো।
বিদায়ী বছরে এডিপি বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিদায়ী অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ৯৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। সামনে শতভাগ এডিপি বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবো। গত বছরে এডিপি বাস্তবায়ন হার ৯৪ দশমিক ১১ শতাংশ। অনেক মন্ত্রণালয় শতভাগের বেশি বাস্তবায়ন করেছে, যেমনÑ গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। টাকার অঙ্কে বিদায়ী অর্থবছরে খরচ হয়েছে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এডিপির ৯৪ দশমিক ১১ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছিল। তখন অবশ্য ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা খরচ করা সম্ভব হয়েছিল। আগের বারের চেয়ে বিদায়ী অর্থবছরে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা বেশি খরচ হয়েছে।
এডিপি বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এটা আমার জন্য পুরো বছর। আমরা টিম হিসেবে কাজ ভালো করেছি। সামনে টিমের তদারকি বাড়বে। নিয়মিতভাবে আমরা পিডি’দের নিয়ে বসবো। পিডিরা সচিবদের অফিসার, তারাও যেন এক সঙ্গে বসে। আইএমইডির (বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ) মাধ্যমে প্রকল্প এলাকায় তদারকি বাড়াবো। আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য কাজরে গতি বাড়ানো। প্রকল্প বার বার সংশোধন প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনা হবে বলে জানিয়ে এম এ মান্নান বলেন, কোনো প্রকল্প একবার সংশোধন হতে পারে। তবে দুই বার ও তিনবার কাম্য নয়। তিন বার প্রকল্প সংশোধন স্বাস্থ্যসম্মত নয়। তিনবার প্রকল্প সংশোধন করলে প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনা হবে। এম এ মান্নান বলেন, প্রকল্পে ভূমি ব্যবহারে আরো শতর্ক থাকতে হবে। প্রকল্প এলাকায় বেশি জমি ব্যবহার করা যাবে না। অনেক প্রকল্প বহু আগে নেয়া হয়েছে, কিন্তু জমি পড়ে আছে। যেমনÑ সাভারে রেডিও সেন্টার নির্মাণের কথা বলে জমি নেয়া হয়েছে। এই রকম প্রকল্প অযৌক্তিকভাবে নেয়া হয়। প্রকল্পে অহেতুক জমি নেয়া যাবে না। ধানের জমি দু’ফসলা জমি নেয়া যাবে না। তিনগুণ দাম দিয়েই প্রকল্প এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন বই আকারে কম্পাইল করবো। এর পরেই সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠাবো। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সবাইকে যথাযথভাবে মানতেই হবে।
এম এ মান্নান বলেন, সিরিয়াসলি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। এটা নির্বাচনী অর্থবছর ছিলো। ফলে তিন মাস কাজ বন্ধ ছিলো। কেনই বা নির্বাচনে সময় উন্নয়ন কাজ বন্ধ থাকবে? পৃথিবীর অন্যান্য দেশে নির্বাচনে উন্নয়ন কাজ বন্ধ থাকে না।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম, সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলা, পরিকল্পনা বিভাগ নূরুল আমিন, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) বেগম সাহিন আহমেদ চৌধুরী ও বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ সচিব আবুল মনসুর মো. ফয়েজউল্লাহ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।