পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন,যদি ভালো কিছু চান,যদি রক্ষা পেতে চান তাহলে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। জেলে যাওয়ার আগেই তিনি বলেছেন, আপনাদের মাফ করে দিয়েছেন।
রোববার (৭ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন,বেশি কথা বলবো না, আমাদের নেত্রী জেলে, তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে জেলখানায় নেয়া হয়েছে। গতকাল আপনারা লক্ষ্য করেছেন বেগম খালেদা জিয়ার কষ্ট-কৃষ্ট একটি চেহারা। কিসের জন্য তিনি জেলে গেছেন? গণতন্ত্রর জন্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সুরক্ষা করার জন্য তিনি জেলে গেছেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, মিথ্যা মামলার একটা সীমা থাকে, কিন্তু এই লজ্জাহীন সরকারের কোনো লজ্জা নেই, সব কিছু অতিক্রম করেছে। সেন্ট্রাল ব্যাংক, শেয়ার বাজার, সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, এমন কোনো অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান নাই যেটা এই সরকার শেষ করে দেয়নি। তারা যখন বলে দুর্নীতি আর অর্থপাচারকারীরা এই দেশে যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে দেশের ভবিষ্যৎ নাই। আমি হাসবো না কাদবো। প্রধানমন্ত্রীকে বলি, অর্থপাচারকারী, লুটেরা যদি সরকারে থাকে তাহলে দেশের কোনো ভবিষ্যৎ নাই, আপনার সাথে এক মত। কিন্তু আপনার মতো এত বড় লুটেরা অর্থপাচারকারী বাংলাদেশে আর ২য় টা জন্মলাভ করে নাই। শেখ হাসিনার সরকার যে লুটপাট এবং হত্যাকাণ্ডের সংগঠিত করেছে, নিখোজ করেছে, গুম করেছে, এতো বড় ভয়ংকর পরিস্থিতি এর আগে অন্য কোনো সরকার করে নাই।
সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারী দিয়ে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, দেশনেত্রীকে ছেড়ে দিন, যদি ভালো কিছু চান, যদি রক্ষা পেতে চান। বার বার আপনি এবং আপনার দলের সহকর্মীরা বলেছেন, সরকার পরিবর্তন হলে, এক লাখ, কেউ বলছেন দুই লাখ, কেউ বলছেন পাঁচ লাখ, কেউ বলছেন ২০ লাখ লোক মারা যাবে। কেনো বলছেন মারা যাবে? কি এমন অপরাধ করেছেন আপনারা? শেখ মুজিবের মৃত্যুর পরে যারা ক্ষমতা নিয়েছিল তারা কি ১ লাখ লোক মেরে ফেলেছে? যারা শহীদ জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পরে যারা ক্ষমতায় এসেছিল, পরে কি দুই লাখ লোক মারা গিয়েছিল? হা এখন যে বাস্তব, ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি করেছেন, তার থেকে একজন মানুষ আপনাদের উদ্ধার করতে পারে তার নাম দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি তো জেলে যাওয়ার আগেই বলেছেন, আপনাদের মাফ করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, তখন এই কথাটা আপনাদের পছন্দ হয়নি। খুব উপহাস করেছেন। যে তিনি মাফ করার কে? প্রধানমন্ত্রী আপনি যেভাবেই ক্ষমতা দখল করে থাকেন না কেনো, আপনার সুস্থতা, আপনার রক্ষাকবচ বেগম খালেদা জিয়া। তাকে ছাড়েন, মুক্ত করেন। ভালো নির্বাচন চান বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়েন।
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, বার বার বলেছেন (প্রধানমন্ত্রী), বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে, কে বলেছে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না? একবারও আমরা বলেছি আমরা নির্বাচনে যাবো না? আমরা বলেছি নির্বাচনে যাবো, কিন্তু পাশে খালেদা জিয়াকে চাই। আমরা বলেছি নির্বাচনে আমরা যাবো আপনাকে পদত্যাগ করতে হবে, পার্লামেন্ট ভাঙ্গতে হবে, সাত দফা মেনে নেন। একবারের জন্যও বলি নাই যে নির্বাচনে যাবো না।
নির্বাচনে আপনারই যেতে চান না, ভালো নির্বাচন আপনি চান না। চাননা বলেই নির্বাচনের সকল পক্রিয়ার সমস্ত পথ আপনি বন্ধ করে দিয়েছেন। এমন কোনো ব্যক্তি কর্মী, সমর্থক, নেতার বিরুদ্ধে কেস দেওয়া হয়নি। যার নামে মামলা দিয়ে জেলে নেওয়ার পক্রিয়া করা হয়নি। এটাতো স্বাভাবিক নির্বাচনের পথ না। নেতারা এলাকায় যাবে, জেতে পারছেন না। নির্বাচনী পক্রিয়া আপনারা ধবংস করে দিয়েছেন।
নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা মনে মনে তৈরি হন,পরস্পরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন। ডাক আসবে। সেই ডাকে আমাদের রাস্তায় নামতে হবে। রাজপথ ছাড়া,এই সরকারের মুখোমুখী হওয়া ছাড়া আইন দিয়ে কিছু হবে না। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী প্রশাসনকে যদি সহযোগিতা করতে চাই, তাহলে রাস্তায় নামতে হবে। কিন্তু ভয়ে হোক যেকারনেই হোক তারা একটু নির্জিব হয়ে গেছে। প্রশাসনের ১০ ভাগ বদমাইশ, ৯০ ভাগ ভালো। আপনি জানেন না শহীদ জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে কারা এই দেশ গড়েছিল। এই এরাই যাদের এই ব্যাংক লুট সঙ্গী করা হয়েছে। খুনে তাদের সঙ্গী করা হয়েছে। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন তাদের মাফ করে দিয়েছি।
দুদু আরও বলেন,' আইনের শাসনের মধ্যে দিয়েই আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো। শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, এ কথা পাগল ছাড়া আর কেউ বিশ্বাস করে না। এই শেখ হাসিনার আন্ডারে আর কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না।
আয়োজক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আবুল হাশেম রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।