রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
জেলা প্রাণী সম্পদের তথ্য মতে, গত বছর কুরবানিযোগ্য পশুতে লাভবান হওয়ায় এবার জেলায় খামারের সংখ্যা বেড়েছে। সরবরাহ বাড়ায় এবার স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ৭৯ হাজারের বেশি কুরবানিযোগ্য পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। অতিরিক্ত পশু দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবারহ করা হবে।
জেলা প্রাণী সম্পদের তথ্য মতে আরো জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলায় কুরবানি যোগ্য পশু রয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার ৬৩৩ টি। এরমধ্যে গরু ও মহিষ মিলে ৩৭ হাজার ৩৭৪টি, ছাগল ও ভেড়া মিলে মিলে ১ লাখ ৪৩ হাজার ২৫৯ টি। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় কুরবানি যোগ্য পশু গরু ও মহিষ মিলে ৭ হাজার ৩৬৩টি, ছাগল ও ভেড়া মিলে ৩৪ হাজার ৬৬৫টি, আলমডাঙ্গা উপজেলায় গরু-মহিষ মিলে ৬ হাজার ৫০৭টি, ছাগল ও ভেড়া মিলে ১১ হাজার ৯০৫টি, দামুড়হুদা উপজেলায় গরু ও মহিষ মিলে ১১ হাজার ৬৭৫টি, ছাগল ও ভেড়া মিলে ১৩ হাজার ৯০১টি ও জীবননগর উপজেলায় গরু ও মহিষ মিলে ৬ হাজার ৩৭৬ টি ও ছাগল-ভেড়া মিলে ৩৪ হাজার ৫৫৩টি।
আলমডাঙ্গা উপজেলার মাজহাদ গ্রামের খামারি অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা হাজ্জাজ বিন তাহাজ বলেন, তিনি অনলাইনে গরুর ছবি দেখে পছন্দ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গরু ক্রয় করেন। তিনি আরো জানান, নিজের খামারে এবার ৪৯টি গরু পালন করেছিলেন। এর মধ্যে ৩৫টি গরু বিক্রয় করে দিয়েছেন। প্রথম দফায় ১৯ টি গরু ১ কোটি ২ লাখ টাকায়, দ্বিতীয় দফায় ৮টি গরু ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বাকি ৮টি গরু, ২৮ লাখ টাকায় বিক্রয় করেছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার খামারি লিটন মিয়া জানান, এলাকায় অন্যান্য খামারিদের গরুতে মুনাফা হতে দেখে আমি চুয়াডাঙ্গা ও ডুগডুগি ও শেয়ারমারী গরুরহাট থেকে চলতি বছরের ফেরুয়ারি মাসে ৫০ হাজার টাকা দরে ৮টি গরু কিনে পালন করি। তিনি জানান, ইতোমধ্যে ৩টি গরু ২ লাখ ৩৯ হাজার টাকায় বিক্রয় করে দিয়েছি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বাকি গরুগুলো বিক্রয় করে দিবেন।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাধীন হাজরাহাটী গ্রামের দাউদ মন্ডলের ছেলে মইনদ্দীন জানান, ভারত থেকে গরু না এলে দেশের বাজারে গরুর দাম ভাল থাকে। বিগত বছর তারা গরুর বাজার ভাল পেয়েছিল। ভারতের গরু কম বেশি বাংলাদেশে প্রতিদিনই বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। তিনি বলেন, গরু ক্রয়, খামার, গরুর খাবার, শ্রমিক, লালন-পালন, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন খরচ মিলিয়ে গরুর দাম হিসাব করা হয়। তিনি আরো জানান, কুরবানিকে সামনে রেখে ৮টি গরু ৮০ হাজার টাকা দরে কিনেছিলাম। ৮টি গরু লালন-পালন করতে প্রতি মাসে ১ হাজার ৫০০টাকা খরচ হয়। তিনি আশা করছেন ৮টি গরুতে খরচ বাদে ৩ লাখের ওপর লাভ হবে।
দামুড়হুদা উপজেলার চারুলিয়া গ্রামের নাসিরুল আলম জানান, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ভেড়া পালন করে আসছেন। তার খামারে ৩৯০ থেকে ৪০০ ভেড়া সব সময় থাকে। তিনি ২০টি ভেড়া নিয়ে তার খামার শুরু করেছিলেন। তিনি জানান, শুধু কুরবানি নয় সারা বছরই বিভিন্ন উৎসবে ভেড়া বিক্রয় করেন। তিনি বছরে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ভেড়া বিক্রয় করেন।
চুয়াডাঙ্গা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আ.হা.ম.শামিমুজ্জামান জানান, এ জেলায় বাইরে থেকে কোন পশু না এলেও সমস্যা হবে না। স্থানীয় চাহিদার তুলনায় জেলায় ছাগল ও ভেড়া উদ্বৃত্ত আছে ৫৬ হাজার ৬২৮টি আর গরু-মহিষ উদ্বৃত্ত আছে ২২ হাজার ৯১৮টি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।