Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টাঙ্গাইলে স্ত্রী হত্যার দায়ে কনস্টেবলের মৃত্যুদন্ড

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

টাঙ্গাইলে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী পুলিশ কনস্টেবল ও তার সহযোগীকে মৃত্যুদন্ড ও প্রত্যেকে এক লাখ টাকা দুইজনকে দুই লাখ টাকা জরিমানা দিয়েছে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম খালেদা ইয়াসমিন (জেলা ও দায়রা জজ) আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।

দন্ডিত ব্যাক্তিরা হলেন, গাজীপুর ইন্ডাষ্টিয়াল পুলিশে কর্মরত কালিহাতী উপজেলার হিন্নাপাড়া গ্রামের মো. আবু হানিফের ছেলে মো. আ. আলীম সুমন (৩২) ও তার সহযোগী একই উপজেলা ও গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে শামীম আল মামুন (২৯)।

রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালনা করেন এপিপি শামস উদ্দিন। তাকে সহায়তা করেন বিশেষ পিপি নাসিমুল আক্তার নাসিম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ৬মে কালিহাতী উপজেলার হিন্নাই পাড়া এলাকার আবু হানিয়ের ছেলে আ: আলীম সুমন সাথে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ফলিয়ার ঘোনা এলাকার সুলতান আহম্মদের মেয়ে সুমি আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য সুমিকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলো সুমন। পরে সুমি তার বাবার বাড়ি চলে যায়। এর কিছুদিন পর সুমন মুঠোফোন যোগে সুমিকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। এরপর ২০১২ সালের ২০ এপ্রিল সুমি সুমনের সাথে দেখা করার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে। এর পর থেকে সুমির মুঠোফোন বন্ধ থাকে। সুমির মা সুমনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ হলে সুমন যৌতুকের টাকা দাবি করে। অন্যথায় বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করে। এঘটনায় সুমির মা বাদি হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এর পরিপেক্ষিতে টাঙ্গাইল থানা পুলিশ সুমনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সুমন জানায় ২০১২ সালের ২০ এপ্রিল সন্ধ্যায় তার বন্ধ শামীম আল মামুনের সহযোগিতায় তুরাগ থানার বেরি বাঁধের পাশে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ পাশের ডোবায় ফেলে রেখে আসে। পরে পুলিশ তার স্বীকারোক্তী মতে ঘটনাস্থল থেকে সুমির লাশ উদ্ধার করে। এঘটনায় ২০১২ সালের ৯মে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হত্যা মামলা করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ