পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এডিস মশা নয়-শুধুমাত্র কিউলেক্স মশা মারার জন্য ওষুধ কিনেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। আমদানিকৃত এই ওষুধে এডিস মশা মরে কি না-এমন কোনো পরীক্ষাই চালায়নি রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইসিডিআর)। এমন তথ্য উদঘাটন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) টিম। গতকাল রোববার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে টিমটি অভিযান চালায়। অভিযানকালে টিমটি জানতে পারে, বিগত বছরগুলোতে রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইসিডিআর) শুধু কিউলেক্স মশা মারার জন্য আমদানি করা ওষুধ পরীক্ষা করেছে। পরে ওই পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ওষুধ আমদানি করা হয়েছে। দুদক টিম ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে মশক নিধনের ওষুধ কেনার আগে এডিস মশা মারার জন্য তা কতটা কার্যকর তার পরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নিতে পরামর্শ দিয়েছে। মশক নিধনের ওষুধ ক্রয়ে কোনো দুর্নীতি হয়েছে কিনা-খতিয়ে দেখতে এ সংক্রান্ত সকল নথি হস্তগত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সহকারি পরিচালক মো. রাশেদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কার্যালয় থেকে এসব রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেন।
দুদক সূত্র জানায়, সংস্থার ‘হটলাইন’ ১০৬ নম্বরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা টেলিফোনে নিজ ভোগান্তির কথা জানান। সেই সঙ্গে গত চার বছরে উত্তর সিটি করপোরেশনে মশক নিধণের জন্য নিম্নমানের ওষুধ কেনা হয়েছে এবং এই ক্রয়ের ক্ষেত্রে বড় ধরণের দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে-মর্মেও জানান তিনি। এ প্রেক্ষিতে কমিশন তৎক্ষণাত টিম গঠন করে উত্তর সিটি করপোরেশনে অভিযান চালায়। মশক নিধনের ওষুধ কেনায় দুর্নীতি হয়েছে কিনা, সেটি খতিয়ে দেখার জন্যই ওষুধ ক্রয় সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র হস্তগত করা হয়েছে। গত ৪ বছরে প্রতিষ্ঠানটি কি পরিমাণ ওষুধ কোন দেশ থেকে, কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কিনেছে তা পর্যালোচনা করে দেখা হবে।
উত্তর সিটি করপোরেশনে অভিযানকালে দুদক টিম জানতে পারে, বিগত বছরগুলোতে রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইসিডিআর) শুধু কিউলেক্স মশা মারার জন্য আমদানি করা ওষুধ পরীক্ষা করেছে। পরে ওই পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ওষুধ আমদানি করা হয়েছে। দুদক টিম ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে মশক নিধনের ওষুধ কেনার আগে এডিস মশা মারার জন্য তা কতটা কার্যকর তার পরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নিতে পরামর্শ দিয়েছে।
অভিযানের সময় ক্রয় প্রক্রিয়া অনুসন্ধানে দুদক টিম দেখতে পায়, গত ৪ বছর ধরে ‘দি লিমিট এগ্রো প্রোডাক্টস লিমিটেড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান মশা মারার ওষুধ সরবরাহ করেছে। তবে এ বছরের জানুয়ারিতে ‘নিকোন লিমিটেড’ নামে আরেক প্রতিষ্ঠানকে ওষুধ কেনার কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। দুদক টিম ডিএসসিসির মশার মারার ওষুধ কেনার নথিপত্র পর্যালোচনা করে শিগগিরই কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।