Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এনার্জি ড্রিংকসের নামে উত্তেজক পানীয়ের রমরমা বাণিজ্য

এস এম আলী আহসান পান্না, কুষ্টিয়া থেকে | প্রকাশের সময় : ৫ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন হাটবাজার থেকে শুরু করে ফাস্ট ফুড, বেকারি, পানের দোকানগুলোতে এনার্জি ড্রিংকসের আড়ালে চলছে যৌন উত্তেজক ও নেশা জাতীয় পানীয়ের রমরমা বাণিজ্য। বিভিন্ন সময়ে মোড়ক পাল্টে ও প্রশাসনের নজর এড়িয়ে এসব উত্তেজক বিক্রি হচ্ছে বহু দিন ধরে। সরকার এগুলো বিক্রি বন্ধ করে দিলেও আবার নাম পাল্টে এসব উত্তেজক পানীয় নতুন নামে বিক্রি হচ্ছে। মাদক সেবিরা কেউ কেউ এগুলো পান করছে ফেন্সিডিলের বিকল্প হিসাবে, আবার অনেক সাধারণ মানুষ এসব ক্ষতিকর যৌন উত্তেজক ও নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করছে, এর ক্ষতিকর দিক না জেনেই। এদের মধ্যে আবাল বৃদ্ধ থেকে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরাও রয়েছে। 

সরেজমিনে শহরের বিভিন্ন ফাস্ট ফুড, বেকারি, চায়ের দোকান, ছোট পানের দোকানসহ অলিগলি ঘুরে দেখা যায় প্রায় দোকানে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিক্রেতারা সুন্দরভাবে সাজিয়ে রেখেছেন এসব যৌন উত্তেজক জিনিসসহ বিভিন্নি ব্র্যান্ডের এনার্জি ড্রিংকস। এসব এনার্জি ড্রিংকসের মধ্যে রযেছে পাওয়ার হর্স, মন পাওয়ার হর্স, ফিলিং হর্স, বøাক হর্স, পাওয়ার অব, জিংকারাজাৎ, ম্যান পাওয়ার, রেড বোল্ড, একটিভসহ বিভিন্ন ধরনের পানীয়। মানব দেহের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা না জেনে এসব পানীয় পান করছেন স্থানীয়রা। এ কারণে বাজারে এসব এনার্জি ড্রিংকসের ভাল চাহিদাও রয়েছে। এছাড়াও এসব পানীয় না জেনে অনেকেই বন্ধুদের সাথে আড্ডায় বসে পান করছে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা। আবার এসব পান করে অনেকেই লিপ্ত হচ্ছে ধর্ষনসহ বিভিন্ন অসামাজিক কাজে।
সূত্র জানায়, এনার্জি ড্রিংকস নামের যেগুলো বিক্রি হচ্ছে তা স্রেফ উত্তেজক পানীয়। এগুলো পান করার পর শরীরে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। যারা নিয়মিত এগুলো পান করে তারা আস্তে আস্তে নেশা গ্রস্থ হয়ে পড়ে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বড়বাজারের এক দোকানি জানান, শহরের অধিকাংশ দোকানে এসব বিক্রি হচ্ছে। অনেক ক্রেতা জেনে, আবার অনেক ক্রেতা না জেনে পান করছে এসব পানীয়।
এগুলো পান করলে শরীরে সাময়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করে। তাই এসব সেবিরা দামের তোয়াক্কা না করেই এগুলো পান করছে।
এসব এনার্জি ড্রিংকস ও যৌন উত্তেজক পানীয়ের রমরমা বাণিজ্য নিয়ে কথা হয় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগমের সাথে। তিনি জানান, যৌন উত্তেজক পানীয়ের রমরমা বাণিজ্য বন্ধে ইতোমধ্যে অনেকগুলো অভিজান চালানো হয়েছে এবং পুনরায় তা আবার শুরু করা হবে। অন্যদিকে ভাল চাহিদা এবং বেশী লাভের আশায় ক্ষতিকর জানার পরও এগুলো বিক্রি করেছেন বলে একাধিক ব্যবসায়ী জানান।
এবিষয়ে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন বলেন, এধরনের পানীয় বিক্রি বা তৈরি করতে ড্রাগ লাইসেন্স প্রয়োজন হয়। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসব পানীয়ের লাইসেন্স দেয় না। ফলে বাজারে যে পানীয় বিক্রি হচ্ছে তার অধিকাংশ দেশের বাইরে থেকে আসা ও অনুমোদন বিহীন। এমন কি এসব পানীয় পানে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীরা মারাও যেতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ