বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঠিকাদারি সাইটের চুরি করা মালামালের ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে পিকআপ চালক উজ্জল সিকদারকে গলাকেটে হত্যা করে দিয়েছিল বন্ধুরা। হত্যাকান্ডের পর পুলিশ সন্দেহজনকভাবে বন্ধু সোহাগকে আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উজ্জলকে জবাই করে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যাকান্ডে অপর দুই সহযোগীকে লঞ্চে পালানোর সময় ঢাকার সদরঘাট থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ব্যবসায়ীক দ্বন্ধের জের ধরে এর আগেও দুইবার উজ্জলকে তার ব্যবসায়ীক পার্টনাররা কোমলপানীয়র সাথে ঘুমের ওষুধ মিলিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিল বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
রবিবার পুলিশ কমিশনারের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, নগরীর আলেকান্দা এলাকার মো. সোহাগ হাওলাদার, মো. রবিউল ও মো. রমজান। তাদের কাছ থেকে জবাইয়ের কাজে ব্যবহৃত ছুরি, বালুচাপা দেওয়ার কোদাল, ২টি বেলচা, চেপে ধরার কাথা এবং উজ্জলের রক্তমাখা জামাকাপড় উদ্ধার করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে নগরীর কাশিপুর এলাকায় নির্মানাধীন ট্রাক টার্মিনালের ছন বাগানে বালু চাপা দেয়া উজ্জলের মৃত দহ উদ্ধার করা হয়।
পাশাপাশি পিকাপ চালক উজ্জল হত্যাকান্ডে আরো কেউ জড়িত আছে কি না তাও তদন্ত করে দেখার কথা বলেন পুলিশ কমিশনার। নিহত এবং গ্রেফতারকৃতরা পরস্পরের বন্ধু ছিলো। নির্মানাধীন বিভাগীয় ট্রাক টার্মিনাল প্রকল্পের সাব ঠিকাদার সোহাগ। বিভিন্ন সময় সে সাইটের রড ও সিমেন্ট চুরি করে বিক্রি করছিল। এর ভাগাভাগি নিয়ে সোহাগের সাথে উজ্জলের দ্বন্ধ দেখা দেয়। এর আগে দুইবার উজ্জলকে হত্যাচেষ্টা করে ব্যর্থ হয় সোহাগ।
সবশেষ গত বৃহস্পতিবার পহেলা আগস্ট রাতে উজ্জলকে নির্মানাধীন ট্রাক ট্রার্মিনাল ভবনের ছাদে নিয়ে কাঁথা চাপা দিয়ে ছুরি দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে সোহাগ ও তার দুই সহযোগী। এর আগেই ট্রার্মিনালের একপাশে বালু সরিয়ে গর্ত করে রাখে তারা। ওই রাতেই তাকে টার্মিনালে বালু চাপা দেওয়া হয়। পালিয়ে যাবাার সময় সন্দেহজনকভাবে উজ্জলের বন্ধু সোহাগকে আটক করে পুলিশ। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার সকালে ঢাকার সদরঘাট থেকে গ্রেফতার করা হয় অপর দুইজনকে। এ ঘটনায় নিহতের মা পারভীন বেগম বাদী হয়ে শুক্রবার রাতেই নগরীর বিমান বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।