বোরহানউদ্দিন-ঢাকা নৌরুটে যাত্রীদের মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে চলছে প্রায় ২০ বছর আগে নির্মাণ করা ফিটনেসহীন এমভি জাহিদ-৭ লঞ্চটি। লঞ্চটির পাশের দিক ও পেছনের অংশে অনেকগুলো ছোট-বড় ফাটল থাকা সত্তে¡ও শত শত যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। বিকল্প কোনো লঞ্চ না থাকায় উপায়ান্তর না থাকায় যাত্রীরাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ লঞ্চে যাতায়াত করছেন। বৈরী আবহাওয়ায় লঞ্চটি যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনায় পড়ে প্রাণহানীর আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ। লঞ্চটিকে অবিলম্ভে সড়িয়ে নিয়ে মানসম্মত লঞ্চ দেয়ার দাবি জানানো হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লঞ্চটির ফাটল চিহ্নিত করে কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অসংখ্য পোস্ট ও শেয়ার লক্ষ্য করা গেছে।

গতকাল সরেজমিনে দেখা গেছে এমভি জাহিদ-৭ লঞ্চটির পিছনে ও সামনের দিকে অনেকগুলো ফাটল। এছাড়া প্রায় সমগ্র অংশের স্টিল ধুমড়ে-মুচড়ে গেছে। পাশের হাতলের স্টিলেরও একই অবস্থা। বর্ষার পানি প্রতিরোধের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। কেবিনগুলোর অবস্থা নাজুক। তেল চিটচিটে বিছানার কাপড়। ভাঙাচোড়া ফ্যান। বিদ্যুতের তারগুলো ছিড়া। তাতে কোন কাভার নেই। দুগন্ধে বেশিক্ষণ থাকা কষ্টকর।

বোরহানউদ্দিন পৌর বাজার ব্যবসায়ী হাসান আল মনসুর, হাসান মোল্লা, মো. হোসেন, মুজিবুর রহমানসহ অনেকে জানান, যাত্রীসেবায় বোরহানউদ্দিন আধুনিক টার্মিনাল হলেও যাত্রীসেবায় মানসম্মত লঞ্চ নেই। বাধ্য হয়ে তারা ভোলা সদর দিয়ে ঢাকায় আসা-যাওয়া করেন।

এদিকে গত সোমবার লঞ্চটির নাজুক অবস্থা উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে। স্থানীয় ইউএনও লঞ্চটি মেরামত ছাড়া যাত্রী ওঠানামা করতে নিষেধ করেন। বিআইডবিøউটিএ কর্মকর্তা সাত দিনের মধ্যে লঞ্চটি মেরামত করে ফিটনেস উপযোগী করে লঞ্চ চালানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু গত শুক্রবার কিছু স্থানে জোড়া-তালি দিয়ে ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে এসেছে। তবে ওই লঞ্চের ম্যানেজার জাহিদ, সুপারভাইজার সুমন ও মাস্টার মো. মোতালেব দাবি করেন, কেবিনের কিছু সমস্যা ছাড়া যেটুকু কাজ করিয়েছেন তা যথেষ্ট।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. খালেদা খানম রেখা জানান, বিআইডবিøউটিএ’র ছাড়পত্র ছাড়া এ ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে লঞ্চ যাবে না।
এ ব্যাপারে ভোলা নদী বন্দরের বিআইডবিøউটিএ’র উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান জানান, ঢাকা থেকে এ লঞ্চ ছাড়ার কথা না। এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।