Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চুয়াডাঙ্গার ৪ পৌর ভবনে ঝুলছে তালা

২১ দিন ধরে নাগরিক সেবা বন্ধ

কামাল উদ্দীন জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গা থেকে | প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০২ এএম

সারাদেশের সকল পৌরসভার ন্যায় চুয়াডাঙ্গা জেলার ৪ টি পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা ও পেনশনসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা আদায়ের দাবিতে ২১ দিন ধরে ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখে অবস্থান কর্মসূচী পালন করছেন।

এ কারণে পৌরসভাগুলোর কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। ফলে চরমে উঠেছে ভোগান্তিও। নাগরিক সনদ, খাজনা, লাইসেন্স, টিকাদান কর্মসূচী, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনসহ বিভিন্ন সনদ এবং পৌরসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, দর্শনা ও জীবননগর পৌরবাসী। সেবা গ্রহীতারা প্রতিদিনই পৌরসভায় আসছেন এবং কাউকে না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, দিনের পর দিন এভাবে আন্দোলনের নামে পৌরসভার কার্যক্রম বন্ধ করে পৌরবাসীদের দুর্ভোগের মধ্যে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।
পৌরসভায় পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা না থাকার কারণে কোন কাজই হচ্ছে না। পৌর এলাকার ময়লা-আবর্জনা জমে স্তুূপের সৃষ্টি হয়েছে। জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা বর্ষার পানিতে পচে দুর্গন্ধের সৃষ্টি করছে। পৌরবাসীরা নাগরিক সনদসহ বিভিন্ন সনদ না পেয়ে পড়েছে চরম বিপাকে।
সরেজমিনে দর্শনা পৌরসভায় গিয়ে দেখা গেছে পৌরসভায় ভুক্তভোগী নাগরিকেরা যাচ্ছেন। কিন্তু সেখানে কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে না পেয়ে তারা কাজ করতে পারছেন না। মাঝে মধ্যে মেয়র-কাউন্সিলরদের দেখা মিললেও তাতে কোন কাজ হচ্ছে না।

পৌরসভার একাধিক ব্যক্তি জানান, পৌরসভার ওলি-গলিতে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ জমে উঠেছে। পরিস্কার না করার কারণে নোংরা পরিবেশের সৃষ্টি হচ্ছে। মাঝে মধ্যে বৃষ্টিপাতের কারণে ময়লার স্তুপ পচে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে। আর এ সুযোগে মশা-মাছির উপদ্রব বেড়েছে ব্যাপক হারে। ফলে পৌরবাসীর বসবাস ও চলাচল করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে।

জীবননগর পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ড রয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে লোক সংখ্যাও উল্লেখ করার মতো। পৌরসভার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলনে রয়েছেন। তাদের আন্দোলন কতদিন ধরে তাও রয়েছে অনির্দিষ্ট। আমার কাছে যে সব লোকজন আসছে তাদেরকে সাধ্যমত নাগরিক সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করছি।

চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু বলেন, নাগরিকদের যতটুকু পারছি সেবা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের ব্যাপারে তিনি একাত্মতা ঘোষণা করে বলেন, সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতার দাবি মেনে নেওয়া হোক। কারণ তারাও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী তাদের বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে প্রাপ্তি তাদের যৌক্তিক দাবি বলেও মনে করেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ