পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বাজারের ‘ভিআইপি’ কাঁচামরিচ
সবজিও এখন সাধ্যের বাইরে। রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারে জনপ্রিয় সবজিগুলো বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৭০-১০০ টাকা দরে। তুলনামূলক সস্তায় বিক্রি হওয়া পেঁপের কেজিও ৫০ টাকা। কয়েকটি সবজির কেজি ১০০ টাকা ছুঁয়েছে। এ ছাড়া বেশির ভাগ সবজির কেজি ৫০ টাকার ওপরে। বন্যার কারণে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া সব ধরনের সবজির দাম চড়া রয়েছে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে বাড়েনি সবজির দাম।
এদিকে বাজারের ‘ভিআইপি’ এখন কাঁচামরিচ। এক কেজি কিনলে বিক্রেতারা দাম চাচ্ছেন ১৬০-১৮০ টাকা। তবে মানুষ সাধারণত আড়াই শ’ গ্রাম করে মরিচ কেনে। এতে দর পড়ছে ৫০ টাকা। কেজি দাঁড়াচ্ছে ২০০ টাকা।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও অঞ্চলের বিভিন্ন বাজার সূত্রে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বন্যা ও টানা বৃষ্টির কারণে সব ধরনের সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। যে কারণে জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই সবজির দাম বাড়তি। সহসা সবজির দাম কমার খুব একটা সম্ভাবনা নেই।
গত কয়েক সপ্তাহের মতো এখনও সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে টমেটো। বাজারভেদে পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি, গাজর ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি এবং শসা ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে এ তিনটি পণ্য এমন দামে বিক্রি হচ্ছে।
বন্যার প্রভাবে সবজির মধ্যে সব থেকে বেশি দাম বেড়েছে বেগুনের। ৩০ টাকা কেজি থেকে বেগুনের দাম এক লাফে ৮০ টাকায় পৌঁছে যায়। গত সপ্তাহের মতো বাজারভেদে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি।
বেগুন, শসা, টমেটো ও গাজরের মতো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ সবজি। করলার বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, ঝিঙা, ঢেঁড়স, শিম ও ধুন্দুলের কেজি ৫০ থেকে ৭০, কাকরোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি।
বরবটির ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি, কচুর লতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা পিস। সবজির দামের বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্যার কারণে সব ধরনের সবজির দাম কয়েক সপ্তাহ ধরে বাড়তি। শিগগির সবজির দাম কমবে বলে মনে হয় না। এখন গাজর ও টমেটোর মৌসুম না। বাজারে এখন যে গাজর ও টমেটো পাওয়া যাচ্ছে, তার সবই আমদানি করা। যে কারণে দাম এত বাড়তি। নতুন করে সবজি না আসা পর্যন্ত বাজারে সবজির দাম কমার খুব একটা সম্ভাবনা নেই।
এদিকে গোশতের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি আগের সপ্তাহের মতো ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, পাকিস্তানি কক মুরগি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি, একই দামে বিক্রি হচ্ছে লাল লেয়ার মুরগি। গরুর গোশত বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৫৭০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি। এদিকে ডিমের দামে হেরফের নেই। ফার্মের ডিম প্রতি ডজন) ১১০ টাকা।
মাছের বাজারও আগের মতোই চড়া। সস্তার মাছের মধ্যে সেই পাঙাশ, তেলাপিয়া আর চাষের কই। নদীর মাছ কিনতে গেলেই বিক্রেতারা কেজিপ্রতি ৮০০ টাকার বেশি চাইছেন। কিছুটা কমেছে ছোট ইলিশের দর। তিনটাতে এক কেজি হয়, এমন ইলিশ ৫৫০-৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ।
রসুনের বাজার আরও চড়েছে। চীনা রসুনের কেজি উঠেছে ১৮০ টাকায়। তাল মিলিয়ে দাম বাড়ছে দেশি রসুনের, কেজি ১৪০ টাকা। আদার দামে হেরফের নেই। চীনা আদা মান ও বাজারভেদে ১৪০-১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সুখবর পেঁয়াজে। সাধারণ দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৪০ টাকা ও ভারতীয় বড় পেঁয়াজ ৩০-৩৫ টাকায় নেমেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।