Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বড়াইগ্রামে ৫০ হাজার কুরবানির পশু প্রস্তুত

বড়াইগ্রাম (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০২ এএম

নাটোরের বড়াইগ্রামে ছোট-বড় বিভিন্ন খামার ও পারিবারিকভাবে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক পশু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। কুরবানির ঈদকে ঘিরে ক্ষতিকর রাসায়নিক স্ট্রেরয়েড হরমোন মুক্ত প্রক্রিয়ায় এসব পশু পালন করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৪ হাজার গরু, ২০ হাজার ছাগল, ৯৭৫ টি মহিষ, ৬ হাজার ৪৫০টি ভেড়া রয়েছে। 

উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ছোট-বড় দেড়শ’ গরুর খামারে ক্ষতিকর ডেক্সামেটাসন বড়ি বা ইন্ডিয়ান বড়ি না খাইয়ে কুরবানির মৌসুমে পুষ্টিকর প্রাকৃতিক খাবারের মাধ্যমে গরু মোটাতাজাকরণ করা হয়। বিশেষ করে ষাঁড় গরুর প্রতি বেশি নজর দেয়া হয়। পাশাপশি গাভী (ফুল বকনা), বলদ ও মহিষ চাহিদা মোতাবেক পালনসহ পারিবারিক ভাবে ছাগল ও ভেড়া পালনও রয়েছে। উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি স্বচ্ছল পরিবারে পারিবারিক ভাবে ৫-৭ টি গরু নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে খামার। এছাড়া ব্যক্তিগত ভাবে ২-৪টি করে গরু অধিকাংশ বাড়িতেই রয়েছে।
রয়না এলাকার গরুর খামারী সোলায়মান হোসেন ও ইসাহাক আলী জানান, এসব খামারের গরু নিজ এলাকা ছাড়াও রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে বিক্রি করা হয়। সেক্ষেত্রে প্রশাসন যদি সড়ক ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও হয়রানী রোধ করার পাশাপাশি ভারতীয় গরু আমদানী ঠেকাতে পারে, তাহলে খামারীরা লাভবান হবে।
উপজেলার লক্ষীপুর বিনোদশাহ এলাকার খামারী হারুন অর রশিদ বলেন, বছর ধরেই আমরা ফার্মে দুধের গাভী পালনের পাশাপাশি কুরবানির মৌসুমে কিছু ষাঁড় কিনে মোটাতাজা করি। নিয়মিত স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশনের মাধ্যমেই এসব গরু-মহিষ মোটাতাজা করা হয়। কোন প্রকার ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার করা হয় না। তিনি আরো বলেন, এবার খামারে বিক্রি উপযোগী ২৫ টি ষাঁড় ও ১২টি মহিষ রয়েছে। আশা করি প্রতিটি ষাঁড়-মহিষে খরচ বাদে অন্তত ২৫ হাজার টাকা করে লাভ হবে। ইতোমধ্যে ব্যাপারীরা খামারে এসে গরু-মহিষ কেনার জন্য দর-দাম করছেন। আবার ব্যক্তিগত ভাবে কেনার জন্যও অনেকে কথা বলছেন।
উপজেলা পশু চিকিৎসক (ভিএস) ডা. উজ্জল কুমার কুন্ডু বলেন, খামারীদের রাসায়নিক স্টেরয়েড প্রয়োগ ছাড়া স্বাস্থ্যসম্মত সুস্থ সবল গরু-মহিষ পালনে প্রয়োজনীয় সকল স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া খামারীদের নিয়ে প্রতিমাসে সচেতনতা সভা করা হয়। আবার কোরবানির হাটে যেন অস্বাস্থ্যকর গরু বেচাকেনা না করতে পারে সেজন্য এখন থেকেই প্রতিহাটে আমাদের টিম নিয়োগ করা হয়েছে। এই টিম ওয়ার্ক চলবে ঈদের আগ পর্যন্ত।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী আশরাফুল ইসলাম, বড়াইগ্রামে কুরবানির পশুতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এই উপজেলায় কোন কোরবানির পশু আমাদানী করতে হবে না। উপরন্ত অন্তত ৫ হাজার ষাঁড় এলাকার বাইরে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। তিনি বলেন, উপজেলা পশু চিকিৎসককে প্রধান করে কুরবানির হাট মনিটরিং এবং প্রাণী স্বাস্থ্যসেবা মনিটরিং কমিটি করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ