রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ফটিকছড়ির দাঁতমারায় আ.লীগ ও ত্বরিকত ফেডারেশন নেতা-কর্মীদের আধিপত্য নিয়ে সৃষ্ট সংঘাতের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩টি পাল্টা-পাল্টি মামলা দায়ের হয়েছে। ১৩ দিন ধরে ত্বরিকত কর্মীদের দোকানে তালা লাগিয়ে রেখেছে আ.লীগ সমর্থকরা। ফের তাদের হামলার ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ত্বরিকত নেতা-কর্মীরা।
জানা যায়, ফটিকছড়ির ভুজপুর থানার হেঁয়াকো এলাকার আধিপত্য নিয়ে স্থানীয় আ.লীগ ও বিএনপি থেকে সদ্য ত্বরিকত ফেডারেশনে যোগদানকারী নেতা-কর্মীদের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ পূর্ব থেকে চলে আসছিল। গত ১৯ জুলাই স্থানীয় দাঁতমারা ইউপি কার্যালয়ে স্থানীয় এমপি ও ত্বরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে সদ্য ত্বরিকতে যোগদানকারীরা এমপিকে পুস্পমাল্য প্রদান করায় সংক্ষুব্দ হয়ে উঠে ওই ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মুজিবুল হক মজুমদার, প্রকাশ-মজু কোম্পানীসহ অনুসারীরা। পরে এমপির প্রস্থানের মুহুর্তেই ওই ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতির নেতৃত্বে তার ছেলে, ভাতিজা এবং শ্যালকসহ ৬/৭ জন নেতা-কর্মী পুলিশ ও গণমাধ্যম কর্মীদের সামনেই ত্বরিকত কর্মী জামালের উপর হামলে পড়ে। এর জেরে হেঁয়াকো বাজারে রাতে আ.লীগ-ত্বরিকত সংঘর্ষে দু’পক্ষের অন্ততঃ ৭/৮ নেতা-কর্মী আহত হয়।
এ ঘটনায় ত্বরিকত কর্মী জামাল কর্তৃক দায়েরকৃত অভিযোগটি ২০ জুলাই এফআইআর (ভূজপুর থানার মামলা নং-১২) হিসেবে গন্য হলেও দ্বিতীয় ঘটনায় (কুপিয়ে রক্তাক্তকরণ) আশংকাজনক জামাল কোন মামলা করতে পারেনি। উপরন্তু তাকেই আসামি করে ২১ জুলাই আ.লীগ সভাপতির উপর হামলার দায়ে মামলা হয়েছে (ভূজপুর থানার মামলা নং-১৪)। উপায়হীন হয়ে হামলার শিকার অপর ত্বরিকত কর্মী নুরুল ইসলাম বাবুল চট্টগ্রাম সিজেএম কোর্টে সিআর মামলা নং- ১০১/২০১৯ দায়ের করলে আদালত তা এফআইআর হিসেবে গন্য করতে ভূজপুর থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, স্থানীয় আ.লীগ সভাপতি মজু কোম্পানীর অনুসারীরা হেঁয়াকো বাজারের ব্যবসায়ী আবু কাউছারের বিকাশ দোকান, মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন ও রবিউল হোসেন মিলনের পাইকারী পান দোকান, নুরুল আমিনের টেইলার্স দোকানে তালা লাগিয়ে রাখায় গত ২১ জুলাই থেকে ১৩ দিন ধরে দোকানগুলো বন্ধ রয়েছে। প্রশাসন এ ব্যাপারে কোন উদ্যোগই নিচ্ছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।