নীলফামারীর সৈয়দপুরে মায়ের ওপর অভিমান করে বাড়ির শোয়ার ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আঁখি বেগম (১৪) নামের এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। উপজেলার তিন নম্বর বাঙালীপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর (চড়কপাড়া) কবিরাজপাড়ায় গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনাটি ঘটে। মৃত আঁখি উল্লিখিত এলাকার মো. মোকাদ্দেস হোসেন ড্রাইভারের মেয়ে। 

খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। তবে মৃতের পরিবারের কোন অভিযোগ না করায় আইনি প্রক্রিয়া মৃতের লাশ তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও মৃতের পরিবার সূত্রে জানান, ঘটনার দিন গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়িতে আঁখি বেগমের মা রান্নাবান্না করছিলেন। এ সময় সামান্য কারণে মা আঁখিকে বকাঝকা করেন। এতে আঁখি অভিমান করে শোয়ার ঘরে গিয়ে সবার অজান্তে বিকেল ৩ টার পর কোন এক সময় শোয়ার ঘরের তীরে সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়। এর অল্প কিছুক্ষণ পর তার মা ঘরে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় আঁখির লাশ দেখতে পায়। মেয়েকে ঘরের মধ্যে গলায় ফাঁস লাগা অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুঁটে আসেন। পরে ঘটনাটি সৈয়দপুর থানায় অবহিত করা হয়। খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাহিদুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। তবে কিশোরী আঁখির আত্মহত্যার সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে এলাকার অনেকেই জানান, কিশোরী আঁখি ছিল অত্যন্ত রাগি ও জেদী স্বভাবের। এছাড়াও সে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন বলেও জানা যায়।
সৈয়দপুর থানার ওসি (তদন্ত) আবুল হাসনাত খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এ ব্যাপারে থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে।