রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা জামালপুর ইউনিয়নের মাশালিয়া বাজারে প্রতি বছরের ন্যায় বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথে ছোট বড় বিভিন্ন ধরণের জিকে, উড়িয়াম, বাবলা ও মেহগণী গাছের কাঠ চিড়াই করে রোদে শুকিয়ে পেরাক ও লোহা কাঠে ঠেকিয়ে ঐতিয্যবাহি বট-পাকুড় গাছের ছায়ায় নৌকা তৈরি কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে কাঠ মিস্ত্রীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে মাশালিয়া বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বট-পাকুড় গাছের ছায়ায় কাঠ মিস্ত্রীরা নৌকা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে।
উপজেলা জামালপুর ইউনিয়নের মাশালিয়া গ্রামের কৃষ্ণ রায়ের ছেলে কাঠ মিস্ত্র্রী কুমারেশ রায় জানান, সে দীর্ঘ দিন ধরে মাশালিয়া বাজারে ছোট বড় বিভিন্ন প্রকারের নৌকা তৈরির কাজ করে আসছে। নৌকা তৈরির কাজ করে তিনি লাভবান হওয়াসহ তার পরিবারের সদস্য নিয়ে খেয়ে পড়ে ভাল আছেন। মাশালিয়া বাজারে কাঠের নৌকা তৈরির করে জমাচ্ছেন। মাগুরা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী পাংশাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার দূর-দুরান্তের লোকজন আসে নৌকা নিতে। এখানে ৯ থেকে ২০ হাত পর্যন্ত নৌকা শুধু কাঠ ও কাঠ-প্লেনসিট দিয়ে তৈরি করা নৌকা ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকায় তৈরি শেষে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে দূর-দুরান্তের মানুষেরা।
একই গ্রামের পবন রায় এর ছেলে কাঠ মিস্ত্রী অমল রায় জানান, বর্ষার মৌসুমে নদী নালা-খাল বিলের পানিতে মাছ ধরার জন্য ও নদী পারাপারের কাজে নৌকা ব্যবহার করে থাকে বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষেরা। তাই বর্ষার পানি আসার উপর নির্ভর করে আমাদের নৌকা তৈরির কাজ এবং ক্রয় বিক্রয়। আমরা প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে অর্ডার থেকে শুরু করে রেডিমেট নৌকা তৈরি করে সেটা ক্রেতাদের নিকট বিক্রয় করে থাকি।
বাকশাডাঙ্গ গ্রামের রহিম মোল্লার ছেলে খোরশেদ মোল্লা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে তার নিজ বাড়িতে ও মাশালিয়া বাজারে নৌকা তৈরির কারিগড়দেরকে নিয়ে ছোট বড় বিভিন্ন ধরণের নৌকা তৈরির কাজ করে দেশের বিভিন্ন এলাকার লোকজন এসে নৌকা তৈরির কাজ শেষে ক্রয় করে নিয়ে যায়, তার মধ্যে রয়েছে জেলে ও বর্ষায় পানিবন্দি সাধারণ মানুষ মাছ ধরা ও পারাপারের জন্যে এখানে এসে নৌকা ক্রয় করে নিয়ে যায়। এখানে দুই ধরনের নৌকা তৈরি হয়। একটি শুধু কাঠ দিয়ে আর একটা প্লেনসিট ও কাঠের। এ বছরে তারা নৌকা তৈরি করে ভাল আয় করতে পারবে বলে আশা করছে।
কালুখালী উপজেলার মৃগী গ্রামের শ্রমিক কাঠ মিস্ত্রী কামরুল ইসলাম জানান, বর্ষার মৌসুম আসার সাথে সাথে তারা মাশালিয়া বাজারে এসে নৌকার কারখানার মালিকদের সাথে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরে নৌকা তৈরি করতে তারা প্রতি হাত ৩৫০ টাকা করে মালিকদের সাথে মিটিয়ে নিয়ে নৌকা তৈরির কাজ শুরু করেছেন। বর্ষা মৌসুমে নৌকা তৈরি করে ভাল অর্থ আয় করে বাড়ি ফিরবেন বলে আশা করছেন তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।