বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিনেটে ৩ সদস্যের ভিসি প্যানেল চূড়ান্ত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সিনেটের এক বিশেষ অধিবেশনে অন্য কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা ভোটে নির্বাচিত হন আওয়ামীপন্থী নীল দলের প্রার্থীরা। বিএনপি-জামাতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল ৩ অভিযোগে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেনি।
সিনেটের চেয়ারম্যান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। ১০৫ জন সিনেট সদস্যের মধ্যে এতে ৯৩ জন সদস্য যোগদান করেন। প্যানেলে মনোনীতরা হলেন : বর্তমান ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান, প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সামাদ ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
সিনেটের বিশেষ অধিবেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩ এর আর্টিক্যাল ১১(১) ধারা অনুযায়ী মহামান্য চ্যান্সেলর কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগের জন্য সর্বসম্মতিক্রমে ৩ জনের একটি প্যানেল মনোনয়ন করা হয়। আর্টিক্যাল ২১(২) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান সিনেটের এই বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল দলীয় ফোরামের বেঠকে ৩ সদস্যের প্রার্থী চূড়ান্ত করেন। নীল দল থেকে সাতজন সদস্য দলীয় প্যানেলে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য দলীয় সভায় প্রার্থী হন। পরে ভোটাভোটির মাধ্যমে সেখান থেকে তিনজনকে মনোনীত করা হয়।
এদিকে বিএনপি-জামাতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল ৩ অভিযোগ এনে ভিসি প্যানেল নির্বাচন বর্জন করে। সাদা দলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম ভোট বর্জনের বিষয়ে বলেন, ‘আমরা ভিসি প্যানেল নির্বাচন বর্জন করেছি। কারণ, ভিসি প্যানেল নির্বাচন করা তো সিনেটের মূল কাজ। গতবার যে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন হয়েছিল, সেখানে তিনটি প্যানেল ছিল। আওয়ামীপন্থী নীল দলের দুইটি প্যানেল এবং বিএনপিপন্থী সাদা দল। কিন্তু নীল দলের একটি প্যানেল তারা বাদ দিয়েছিল, যা বাতিল করতে পারে না।
এছাড়াও রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচনেও সারা বাংলাদেশে তারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করেছে। এছাড়াও ডাকসুর নির্বাচনে যে অনিয়ম হয়েছে এ বিষয়গুলোর জন্য ভিসি প্যানেলই দায়ী। তাহলে ভিসি প্যানেল করতে গিয়ে যদি এসব অনিয়ম কাজগুলো করে, তাহলে সে নির্বাচন আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। তাই আমরা নির্বাচন বর্জন করেছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।