পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রীকেই যদি সব বিষয়ে নির্দেশনা দিতে হয় তাহলে সরকারি কর্মচারিরা কি করছেন ? প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসার জন্য লন্ডন গেছেন। সেখানে থেকে তাকেই নির্দেশনা দিতে হচ্ছে। কর্মচারিদের বেতন-ভাতা হচ্ছে জনগণের টাকায়। অথচ জনগণ সেবা পাচ্ছে না। কথা বললেতো বলবেন বেশি বলছি। প্রশাসন যেখানে ব্যর্থ হচ্ছে জুডিশিয়ারি সেখানে হস্তক্ষেপ করেছে। গতকাল বুধবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান এবং বিচারপতি কে. এম. কামরুল কাদেরের ডিভিশন বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। এ সময় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের আইনজীবী তৌফিক ইনাম টিপু এবং সাঈদ আহমেদ রাজা উপস্থিত ছিলেন।
হাইকোর্ট আরো বলেন, ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার জীবাণুবাহী মশা নিধনের বিষয়ে গৃহিত পদক্ষেপ যথাযথ হচ্ছে না বলেই রাজধানীসহ সারা দেশে মশাবাহিত জ্বর বেড়েছে। এ কারণে এ নিয়ে আমাদেরও ডেঙ্গু নিয়ে কথা বলতে হচ্ছে। তিন জেলা ছাড়া সারা দেশে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। এখন একেবারে শেষ পর্যায়ে সিটি কর্পোরেশন নড়ে চড়ে বসলেন। কিন্তু ডেঙ্গু নিয়ে আমরা ফেব্রæয়ারি থেকে সতর্ক করেছিলাম। দুই সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের ডেকে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া রোধে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা গুরুত্ব দেয়নি। দু-তিন মানুষ মারা যাওয়ার পর ভাসা ভাসা কথা বললেন। কিন্তু এখন তো সারা দেশে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণেই আমাদের হস্তক্ষেপ করতে হয়।
আদালত থেকে বেরিয়ে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, আদালত বলেছেন আমাদের দেশে কোনো কিছুই শুরু থেকে প্রস্তুতি নেয়া হয় না। যখন ভয়াবহ রূপ ধারণ করে তখন সবাই নড়েচড়ে বসেন। হাইকোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে এ আইন কর্মকর্তা বলেন, আদালত দুই সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে ডেকে নিয়ে এসেছিলেন। তখন তাদেরকে বলা হয়েছিল সামনে বর্ষা মৌসুম। এখন থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন। যেন চিকুনগুনিয়া- ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা যায়। এডিস মশার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ওনারা যদি তখন আদালতের নির্দেশ মানতেন, তাহলে আজকে মশা যে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে সেটা করতে পারতো না।
আদালত বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নিজের চিকিৎসার জন্য বিদেশে গেছেন। সেখানে চিকিৎসাকালীন সময় যারা দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ রয়েছেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হচ্ছে, নির্দেশ দিতে হচ্ছে।
প্রশাসনের এই যে ব্যর্থতা ও দুর্বলতা এতে আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ভবিষ্যতে যেন এ ধরণর ঘটনা না ঘটে বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছেন আদালত। এর আগে ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ে গণমাধ্যমে ২১ জানুয়ারি প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’র পক্ষে রিট করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত ২৮ জানুয়ারি আদালত রুলসহ আদেশ দেন। ওই রুলের শুনানিতে দুই সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ তলব করেছিলেন। সেদিন মশা নিধনের তাগিদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।