বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
![img_img-1719982908](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678506381_AD-1.jpg)
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজধানীর মিরপুরে চাঁদার দাবিতে হোটেল ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জুনায়েদকে (৪০) গুলি করে হত্যার অভিযোগে শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদতের সেকেন্ড ইন কমান্ড আনোয়ার হোসেন সবুজকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। গত সোমবার রাতে রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্ক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পিবিআইয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, বাদী ডা. সাঈদ হোসেন সোহাগ (৩২) অভিযোগ করেন, তার বড় ভাই রফিকুল ইসলাম জুনায়েদ (৪০) আবাসিক হোটেলের ব্যবসা করে আসছিলেন। ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রাতে খুন হন তিনি। গ্রেফতারকৃত আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
ওই কর্মকর্তা আরো জানান, গ্রেফতারকৃত আনোয়ার হোসেন সবুজ ওরফে সজিব ওরফে স্যুটার সবুজসহ তার সহযোগীরা হোটেল ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জুনায়েদ এর কাছে ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। কিন্তু ভিকটিম তা প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর থেকে ভিকটিমের মোবাইলে বিভিন্ন হুমকির মেসেজ আসতো। চাঁদা না দেয়ায় সন্ত্রাসীরা জুনায়েদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়। পরে সন্ত্রাসীরা জুনায়েদকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি স্যুটার সবুজ তার সহযোগীদের সিমসহ কয়েকটি মোবাইল ফোন সেট প্রদান করে এবং সে নিজের কাছে একটি মোবাইল ফোন রাখে। ঐ ফোনগুলো দিয়ে তারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করত এবং শাহজালাল হোটেলের মালিক ভিকটিম জুনায়েদকে নজরদারি করত।
তিনি জানান, পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে তারা সবুজের বাসায় একত্রিত হয়। পরে সবুজের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা পিস্তলসহ দক্ষিণ বিশিল এলাকায় অবস্থান নেয়। ঐদিন দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে জুনায়েদ হোটেলের সকল হিসাব-নিকাশ শেষ করে দক্ষিণ বিশিলের বাসা উদ্দেশ্যে রওনা হন। ভিকটিম জুনায়েদ দারুস সালাম রোডে পাইকপাড়া সরকারি স্টাফ কোয়ার্টার জামে মসজিদের সামনে ফুটপাথের উপর পৌঁছা মাত্র সন্ত্রাসীরা ভিকটিম জুনায়েদকে চর্তুদিক থেকে ঘেড়াও করে। এ সময় সবুজ তার হাতে থাকা পিস্তল জুনায়েদের বুকের বাম পাশে ঠেকিয়ে গুলি করে। গুলি করার পর জুনায়েদের মৃত্যু নিশ্চিত করে সবাই গুদারাঘাট বটতলার দিকে চলে যায়। পরে সবুজের নির্দেশে সবাই মোবাইল বন্ধ করে সিমসহ তুরাগ নদীতে ফেলে দেয় এবং সবাই আত্মগোপন করে থাকে। পরে ভিকটিমের ভাই বাদি হয়ে দারুস সালাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।