Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এক পরিবারে ৩ প্রতিবন্ধীর মানবেতর জীবন

বাড়িয়ে দিন মানবতার হাত

আবদুল হালিম দুলাল, মঠবাড়িয়া থেকে | প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০১৯, ১২:০১ এএম

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ছোট শৌলা গ্রামের দরিদ্র আ. মালেক মল্লিকের (৭২) পরিবারের ৫ সদস্যের মধ্যে ৩ জন প্রতিবন্ধি। অর্থাভাবে চিকিৎসা না হওয়ায় মানবেতর জীবন-যাপন করছে প্রতিবন্ধি পরিবারটি। আ. মালেক মল্লিক ছোট শৌলা গ্রামের মৃত মফেজ মল্লিকের ছেলে।

জানা যায়, আ. মালেক মল্লিকের ২ ছেলে ও ২ মেয়ে। ২য় সন্তান দেলোয়ার হোসেন (৩২) (সারা দেহে টিউমার) শারীরিক প্রতিবন্ধি এবং ৩য় সন্তান মাহমুদা বেগম (২৮) ও মাহমুদার ছেলে বাদশা ফাহাদ (০৮) দৃষ্টি প্রতিবন্ধি।
দেলোয়ার হোসেন মাথায় লাইপোমা টিউমার (এই টিউমার চামড়ার নিচে থাকে মাংশের সাথে সংযোগ থাকে না) নিয়েই জন্মগ্রহণ করেছে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে টিউমারের আকারও বড় হতে থাকে। ১০ বছর বয়সে রবিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসকরা অপারেশন করার সময় ব্যাপক রক্তক্ষরণ হলে তারা সম্পূর্ণ টিউমার অপসারনে ব্যর্থ হয়। এর কিছু দিন পর দেলোয়ারের বাকশক্তি হারিয়ে যায় এবং মাথা, পিঠ ও বুকসহ সারা দেহে টিউমার ছড়িয়ে পরে। টিউমারগুলো বিশাল আকার ধারণ করে দেহে মৌচাকের মত ঝুলে পড়ায় দেলোয়ার স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারছেনা। বর্তমানে দেলোয়ার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মাহমুদা বেগম ৫ম শ্রেণীতে পড়ার সময় একদিন স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে আছাড় খেয়ে চোখে আঘাত পায়। আস্তে আস্তে নিভে যায় দু’চোখের আলো। ৯ বছর আগে পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার দরিদ্র আবুল কালামের সাথে বিয়ে হয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধি মাহমুদার। বিয়ের প্রায় ২ বছর পর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় কালামের। ৪ মাসের শিশু সন্তান বাদশা ফাহাদকে নিয়ে মাহমুদা ফিরে আসে বাবার সংসারে। দেড় বছর পূর্বে খেলার সময় মাথায় আঘাত লাগলে চোখে সমস্যা দেখা দেয় ফাহাদের। দেশের নামকরা বিভিন্ন চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা করেও কোন লাভ হয়নি বরঞ্চ আস্তে আস্তে নিভে যায় ফাহাদের দু’চোখের আলো। মা-ছেলে দু’জনই দৃষ্টি প্রতিবন্ধি। ফাহাদ বর্তমানে ঢাকা যাত্রাবাড়ি মদিনাতুল উলুম দৃষ্টি প্রতিবন্ধি হাফিজী মাদরাসায় পড়ে।
আ. মালেক মল্লিক মেয়ে মাহমুদা ও নাতী বাদশা ফাহাদকে ২০১৮ সালে চিকিৎসার জন্য ভারতের কলিকাতা অদ্বিতীয়া বিড়লা শংকরা নেত্রালয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা চেন্নাইতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। চেন্নাইতে চিকিৎসার জন্য মোটা অংকের টাকার প্রয়োজন।
এ পর্যন্ত চিকিৎসায় প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকা ব্যায় করে সহায় সম্বল হারিয়ে ধার দেনায় জর্জড়িত হয়ে পড়েছে পরিবারটি। টাকার জন্য স্বজনরা হাটে-বাজারে, অফিস, স্কুল, মাদরাসা ও মসজিদে গিয়ে সবার কাছে হাত পাতছে। এভাবে এত বড় অংকের টাকা সংগ্রহ সম্ভব না। তাই সরকার এবং দানশীল বিত্তবানদের নিকট সাহায্যের হাত বাড়াবার জন্য আকুল আবেদন জানিয়েছেন আ. মালেক মল্লিক।
সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা
মোসা মাহমুদা বেগম,
সঞ্চয়ী হিসাব নং-০২০০০০৮৮৭১১২৫,
অগ্রনী ব্যাংক, মিরুখালী শাখা, মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর
বিকাশ নং-০১৭২৬১৫৬৯৮৯ ও ০১৭৭৩৮২০০৪৬।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ