পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাংবাদিকদের অকারণে ছাঁটাই না করার জন্য বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ অনুরোধ জানান। তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
নবম ওয়েজ বোর্ডের সুপারিশ মন্ত্রিসভা বৈঠকে উঠতে যাচ্ছে, এরই মধ্যে স্বনামধন্য অনেক পত্রিকায় সাংবাদিক ছাঁটাই চলছে, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেয়া হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি যেটি বলব, সাংবাদিকরা এ পেশায় না গিয়ে অন্য পেশায় গেলে কিন্তু সেই পেশা অনেক নিরাপদ ছিল। অন্যান্য নিরাপদ পেশায় আরও ভালো বেতনে যারা কাজ করছেন তাদের চেয়ে অনেক বেশি যোগ্যতা রাখেন সাংবাদিকরা। এ জন্য আমি অনুরোধ জানাব, অকারণে যেন কাউকে এভাবে ছাঁটাই করা না হয়। সমস্ত পত্রিকা ও টেলিভিশন কর্তৃপক্ষের কাছে সেটাই আমার অনুরোধ থাকবে।
এ বার্তা দেয়ার জন্য সম্পাদক কিংবা টেলিভিশন মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এ ব্যাপারে আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক সম্পাদকের সঙ্গে ইতোমধ্যেই কথা বলেছি। আমি সাংবাদিক ইউনিয়নের সঙ্গে কথা বলব। যাতে এ ব্যাপারে সমন্বিতভাবে আরও উদ্যোগ নেয়া যায়, সেজন্য আমি কথা বলব।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা অনলাইনগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনার জন্য দরখাস্ত আহ্বান করেছি। যে অনলাইনগুলোর তদন্ত হয়েছে, আর কিছু অনলাইন আছে তদন্তের খুব একটা প্রয়োজন নেই। কারণ, এগুলো প্রতিষ্ঠিত অনলাইন হিসেবে কাজ করছে। সেগুলোর নিবন্ধন আমরা খুব সহসা দিয়ে দেবো।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ হিসেবে কাজ করে। সেই দর্পণে দৃষ্টি নিপাত করে সরকারও অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আবার অনেক সিদ্ধান্ত বদলায়। তাই সাংবাদিকরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। তবে মনে রাখতে হবে কোনো একটি সংবাদ সমাজে কী প্রভাবে ফেলতে পারে- এটি আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে অনেক সময় খারাপ খবরগুলো প্রাধান্য পায়। অবশ্যই খারাপ সংবাদগুলো পরিবেশন করতে হবে, সমালোচনাও থাকতে হবে। একই সঙ্গে ভালো সংবাদগুলোও পরিবেশিত হওয়া প্রয়োজন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম একটি আন-এডিটেড প্ল্যাটফর্ম, যে কেউ যেকোনো সময় যেকোনো কিছু ব্যক্ত করতে পারছেন। সেখান থেকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু পত্রিকাগুলোতে সঠিক বানান এবং সঠিক নিউজ থাকায় বিশৃঙ্খলা হচ্ছে না। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে সারা বিশ্বে আলোচনা হচ্ছে। এ ব্যাপারে গণমাধ্যম সোচ্চার ভূমিকা রাখতে পারে।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ছেলেধরা ও বিদ্যুৎ থাকবে না এমন গুজব থেকে মানুষকে সচেতন করতে গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের আহ্বান জানিয়েছেন।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তথ্য সচিব আব্দুল মালেক, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার, বিএসআরএফ-এর সভাপতি তপন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পঞ্চায়েত হাবিবসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।