Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ডেঙ্গু সবার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণ সম্ভব সাংবাদিকদের সাঈদ খোকন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০১৯, ১২:০০ এএম


ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, তবে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাঈদ খোকন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। দিন যাচ্ছে একটু একটু করে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সরকারের সব সংস্থার সমন্বয়ে ও সিটি কর্পোরেশনসহ সবাই এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জনগণের সর্তকতা, সচেতনতা এবং অংশগ্রহণের কোনো বিকল্প নেই জানিয়ে মেয়র বলেন, আমার কাছে মনে হচ্ছে জনগণ আগের থেকে এখন অনেক সচেতন হয়েছে। জনগণ অনেক বেশি সম্পৃক্ত হচ্ছে এবং নিজেদের বাড়ির আঙিনাকে পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করছে আগের তুলনায় বেশি। যেখান থেকে বিষয়টি শুরু হয়েছিল সেখান থেকে যদি দেখি জনগণ অনেক সতর্ক ও সচেতন এবং নিজের জায়গাগুলো পরিষ্কার রাখছে।
তিনি বলেন, এডিস মশা ঘরের ভেতরে জন্মে, স্বচ্ছ পানিতে জন্মে। দিন যত যাচ্ছে বিষয়টি জনগণ বুঝতে পারছে এবং সতর্ক হচ্ছে। জনগণের এই সর্তকতার সঙ্গে সরকারের যেসব উদ্যোগ রয়েছে এর সমন্বয়ের মধ্য দিয়েই আমাদেরকে এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। পরিস্থিতি নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন চলতি সপ্তাহ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে অ্যারোসল স্প্রে বিতরণ করবে। যদিও পরিস্থিতির তুলনায় এই উদ্যোগ সামান্য, কিন্তু জনগণের সঙ্গে থেকে এক সঙ্গেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব বলে মনে করেন ডিএসসিসি মেয়র।
কিছু কিছু হাসপাতলে ডেঙ্গুর চিকিৎসা ব্যয়বহুল কেন হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এরইমধ্যে এসব অভিযোগ পেয়েছি যে, ডেঙ্গুর চিকিৎসা ব্যয়বহুল হচ্ছে। তবে রোগীর সংখ্যা প্রচুর হওয়ায় সরকারি হাসপাতালে জায়গা না পেয়ে অনেকেই প্রাইভেটে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন, এজন্য কিছুটা ব্যয়বহুল হচ্ছে। তবে বিষয়টি নিয়ে আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবো। অবশ্যই তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
সাঈদ খোকন বলেন, একটা বিষয় লক্ষ্যণীয় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। সেই সঙ্গে নাগরিকরা যেন ভেঙে না পড়ে, ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে না পড়ে, নাগরিকরা যাতে আশাহত হয়ে না পড়ে, সেজন্য আমরা বলতে চাই আমাদের যে চিকিৎসক রয়েছেন, যে হাসপাতালগুলো রয়েছে, তারা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন রোগীদের সারিয়ে তোলার জন্য এবং ১০ হাজার আক্রান্ত হলেও সাত থেকে আট হাজার ডেঙ্গু রোগী সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে গেছেন। নতুন যারা আক্রান্ত হচ্ছেন ঠিক তেমনিভাবে সুস্থ হয়ে যারা ফিরে যাচ্ছেন তাদের সংখ্যাগুলোও গণমাধ্যমে আসা উচিত। তাহলে কিছুটা হলেও জনগণের মধ্যে স্বস্তি আসবে, নাগরিকদের মধ্যে অভয় আসবে বলে মনে করেন ডিএসসিসি মেয়র।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ