রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
দেশে বন্যার প্রভাব পড়েছে কাঁচাবাজারগুলোতে। গত কয়েকদিন ধরে অতি বৃষ্টি ও সৃষ্ট বন্যার কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খেত-খামার ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সে কারণে সরবরাহ কম থাকায় সবজিসহ সকল পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। ফলে ক্রেতা সাধারণকে চড়া দামে সবজি ও বিভিন্ন পন্য কিনতে হচ্ছে। সরেজমিনে গতকাল ফেনীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও কাঁচা মরিচের কেজি ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। ধনিয়া পাতা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। টমেটো ১২০ টাকা, বাঁধাকপি ১০০ টাকা, ফুল কপি ১২০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, তিতা করলা ৭০ টাকা, শষা ৭০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, ছড়া ৬০ টাকা, আকরি ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, সশিন্দা ৬০ টাকা, ঢেড়স ৬০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা চালকুমড়া ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, কচু ১ পিচ ৪০ টাকা, কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, যে কোন সবজির প্রতি কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা করে দাম বেড়েছে। কারণ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আমাদের ফেনীতে এসব সবজি আসে। কিন্তু দেশে অতি বৃষ্টি ও বন্যার কারণে বেশিরভাগ সবজি খেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। যে কারণে সরবরাহ কম থাকায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে মাছের বাজারে আগুন আরোও বেশি দেখা গেছে। পর্যাপ্ত মাছের সরবরাহ থাকালেও মাছের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। ইলিশ মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ১০০০ টাকায়, কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকায়, মাগুর মাছ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়, শিং মাছ ৬০০ টাকা, চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায়, রুই মাছ ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, বিগ্রেড মাছ ২২০ টাকা, সাগরের বড় বাডা মাছ ২৬০ টাকা, হোফা মাছ ২২০ টাকা, বাইলা মাছ ২০০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে।
ফেনী বড় মাছ বাজারে মাছ কিনতে আসা জাফর আহমেদ বলেন, ভাই বাজারে মাছের যে দাম, ১ কেজির মাছের দাম দিয়ে মুরগী ৩ কেজি কেনা যাবে। মুরগীর দাম কিছুটা কমেছে। ফার্মের মুরগী প্রতিকেজি ১২৫ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেয়ার লাল মুরগী ২২০ টাকা, দেশি মুরগী ৪০০ টাকা, কক মুরগী ১৯০ টাকা, হাঁস প্রতি কেজি ২৮০ ধরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে হাড়সহ ৫৫০ টাকায়, হাড় ছাড়া ৬৫০ টাকা, খাশী ৭৫০ টাকা ও পাঠার মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায়। কোরবানের আগে মসলার বাজারেও চড়া দাম লক্ষ করা গেছে। এলাচির কেজি ২৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পৌর হকার্স মার্কেটের এক ব্যবসায়ী জানান, গত ৪ মাস আগে এলাচির দাম ছিল প্রতি কেজি ১৩০০ টাকা, দেশে বন্যার কারণে সব পন্যের দামই বেড়েছে। গুড়ি হলুদ ১১০ টাকা, শুকনা মরিচ ১৮০ টাকা, রসুন ১৬০ টাকা, পেয়াজের দাম ৬ টাকা কমেছে, এখন ৩০ টাকা, আদা ১৪০ টাকা, ঝিরা ৩৮০ টাকা, পাউডার দুধ প্রতি কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়েছে। ডিপ্লোমা পাউড়ার দুধ প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, মার্কস ৫৬০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে। রোজার ঈদের পরে থেকে মুরগী ও মাংসের দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান ক্রেতারা। কিন্তু সবজি ও মসলার দাম ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।