Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সচিবের অপেক্ষায় প্রাণ গেলো ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র তিতাসের

অভ্যন্তরীণ ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০১৯, ৭:১৩ পিএম

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের গাড়ি আসবে তাই ছাড়া যাবে না ফেরি। কিন্তু এই ৩ ঘণ্টার অপেক্ষা কেড়ে নিলো ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র তিতাস ঘোষের প্রাণ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়া তিতাসকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেয়া হচ্ছিলো।

বৃহস্পতিবার রাতে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ী ১নং ফেরি ঘাটে এমন ঘটনা ঘটে।

তিতাসের স্বজনরা অভিযোগ করেন, ওই সময় আশপাশের লোকজনের অনুরোধের পরও কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে ফেরি ছাড়েনি। এমনকি প্রতিকার মেলেনি জরুরি নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করেও।

স্বজনেরা আরো জানান, তিতাস মারা যাওয়ায় আর ঢাকার দিকে না গিয়ে শিমুলিয়া ঘাট থেকে বাড়ির দিকে অ্যাম্বুলেন্স ঘুরিয়ে দেয়।

তিতাস নড়াইল কালিয়া পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্র। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়ায় প্রথমে ভর্তি খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই দিন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেয়া হচ্ছিলো। চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রেখে দ্রুত ঢাকায় পৌঁছাতে অর্ধ লক্ষ টাকায় ভাড়া করা হয় আইসিইউ সংযুক্ত অ্যাম্বুলেন্স।

এরপর রাত আট টার সময় ওই ফেরি ঘাটে পৌঁছায় অ্যাম্বুলেন্সটি। তখন কুমিল্লা নামের ফেরিটি ছাড়ার জন্য ঘাটেই ছিল। কিন্তু নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের ওই কর্মকর্তার গাড়ি না আসা পর্যন্ত ফেরি ছাড়তে রাজি হননি ঘাট কর্তৃপক্ষ। কারণ ওই কর্মকর্তার ভিআইপি গাড়ি যাবার খবর দিয়েছিলেন মাদারিপুরের জেলা প্রশাসক নিজে।

পরিস্থিতি খারাপ দেখে মুমুর্ষু তিতাসকে বাঁচাতে স্বজনরা ফোন করেন জরুরী নম্বর ৯৯৯-এ। সাহায্য চান ঘাটে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদেরও। কিন্তু ঘাট কর্তৃপক্ষ কারোই অনুরোধ না রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রায় তিন ঘন্টা পর রাত পৌনে ১১ টার দিকে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের স্টিকার লাগানো সাদা রংয়ের নোহা মাইক্রোবাসটি আসার পর ফেরি ছাড়ে। ততক্ষনে অনেক দেরি হয়ে গেছে। মস্তিস্কে প্রচুর রক্ত ক্ষরণে মাঝ নদীতে থাকা আম্বুলেন্সেই মৃত্যু হয় তিতাসের। অনেক চেষ্টা করেও সময়ের কাছে হেরে গেলেন এ্যাম্বুলেন্সে থাকা চিকিৎসক ও সহকারীরা।

এমন মৃত্যুর জন্য ওই সরকারি কর্মকর্তা ও বিআইডব্লিউটিসির ঘাট সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবি জানান তিতাসের স্বজনরাসহ স্থানীয় জনগণ।

কিন্তু, এ প্রসঙ্গে জানাতে চাইলে ঘাট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি এড়িয়ে যায়।



 

Show all comments
  • sahor ২৯ জুলাই, ২০১৯, ১:২০ এএম says : 0
    hmm akta bichar dorkar kn ababe harabe amader vai ar khali hobe mayer bok...
    Total Reply(0) Reply
  • sahor ২৯ জুলাই, ২০১৯, ১:২১ এএম says : 0
    hmm akta bichar dorkar kn ababe harabe amader vai ar khali hobe mayer bok...
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ