Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ভোলা-ল²ীপুর রুটে এখনও আটকে আছে দুই শতাধিক যানবাহন

ভোলা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০১৯, ১২:০০ এএম

কর্তৃপক্ষের গাফিলতি-অদক্ষতা ও যান্ত্রিক ত্রæটির কারনে ফেরি বিকল হয়ে পড়ায় ভোলা-ল²ীপুর রুটের উভয় পাড়ে পারাপারের অপেক্ষায় এখনও প্রায় দুই শতাধিক যানবাহন। গত ২৪ জুলাই থেকে দুটি ফেরি বিকল হলে নতুন একটি ফেরি ও চাঁদপুরের থেকে আসা একটি ফেরিসহ দুটি ফেরি চলাচল করলেও উভয় পাড়ের জট কমছে না। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীরা। ঘাটে দিনের পর দিন অপেক্ষা করেও ফেরির দেখা মিলছে না। এতে করে দুই পাড়ে দীর্ঘলাইন পড়ায় গন্তব্যে যেতে পারছে না পন্যবাহি ট্রাকসহ অন্যান্য যানবহান। এতে চরম বিরম্বনার ও দুর্ভোগ আর লোকসানের মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

জানা যায়, কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও অদক্ষ প্রকৌশলীদের কারণেই বারবার যান্ত্রিক ত্রæটি হচ্ছে আর যানবাহন আটকা পরে দুর্ভোগে পরতে হচ্ছে মানুষের। প্রকৌশলীরা যেন তেনভাবে ঠিক করে ফেরি লাইনে দিলে এক ট্রিপ দুই ট্রিপ দিয়েই বন্ধ হয়ে যায়। দুই একদিন চলাচলের পর আবার বিকল হয়ে পরে। দেশের সবচেয়ে দীর্ঘতম ভোলা-লক্ষীপুর ফেরি রুটটি দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগের অন্যতম সহজ মাধ্যম। এ রুটে কনকচাপা, কৃষানী ও কলমিলতা নামে ৩টি ফেরি নিয়মিত চলাচল করে আসছিলো। কিন্তু গত ৬/৭ দিন আগে ২টি ফেরি যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে বিকল হয়ে পড়ায় যানবাহন পারাপারে মারাত্মক বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। এখন চাঁদপুরের থেকে আরো একটি ফেরি এনে যানবাহন চলাচলের কিছুটা চেস্টা হচ্ছে।
গতকাল শনিবার আটকে থাকা ট্রাক চালকরা জানান, ঘাটে কয়েকদিন ধরে অপেক্ষা করছি, কিন্তু গন্তব্যে যেতে পারছি না, কবে যেতে পারবো তাও জানা নেই। তাদের অভিযোগ, দিনে একবার ফেরি চলাচল করে, তাই ঘাটেই বসে থাকতে হয়। ফেরি সচল না হওয়া পর্যন্ত ভোগান্তি পোহাতে হবে। কয়েকজন ট্রাক চালক জানান, ভোলা-ল²ীপুর রুটটি অতি গুরুত্বপূর্ণ হলেও অবহেলিত। একের পর এক সমস্যা লেগেই আছে। এখানে বাড়তি ফেরি প্রয়োজন। সামনে ঈদ খুব দ্রæত ফেরির সমস্যার সমাধান না হলেও ভোগান্তির সীমা থাকবে না।
সরেজমিনে জানা যায়, একটি মাত্র সচল ফেরি দিয়ে কিছুটা যানবাহন পারাপার হলেও ফেরির ট্রিপ কমে যাওয়ায় উভয় পাড়ে পরিবহনের দীর্ঘ লাইনজটের সৃষ্টি হয়েছে। জট কমাতে গত বুধবার আরো একটি ফেরি যুক্ত করা হয়, কিন্তু জট কমছে না। এতে দুর্ভোগ আর ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে ট্রাক ও পরিবহন শ্রমিকরা।
কবে নাগাত ফেরি সচল হবে তাও জানেনা কেউ। বেশীরভাগ ট্রাকই ঘাটে ৫/৭দিন ধরে আটকে আছে। একের পর এক সমস্যার কারনে এ রুটটি এখন বিরম্বনায় আর ভোগান্তিতে অতিষ্ট চলাচলকারীরা। তাই এখানে আরো ফেরি চালুর দাবি তাদের।
গতকাল শনিবার বিআইডবিøটিসির ইনচার্জ মো. এমরান খান জানান, ৩টির মধ্যে দুটি ফেরি বিকল রয়েছে, চাঁদপুর থেকে একটি ফেরি আনা হয়েছে। এখন দুটি ফেরি চলাচল করছে। কিন্তু তাতে যানবাহনের যানজট কমছে না। এখনও প্রায় দুই শতাধিক গাড়ি আটকা আছে। প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত প্রকৌশলীদের দিয়ে বিকল ফেরিগুলো ভালভাবে মেরামত করা না হলে ঈদের সময় আরো সংকট দেখা দিবে। বিকল ফেরিগুলো মেরামত কাজ চলছে। শিগগিরই সব ফেরি সচল হবে বলে আশা করছি। ফেরিগুলো সচল হলে এক সপ্তাহের মধ্যে জট কমে যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ