Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে উভয় পাড়ে যানজট

আটকে আছে দুই শতাধিক যানবাহন, অদক্ষতার কারণেই যান্ত্রিক ত্রুটি

ভোলা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৯, ৩:২২ পিএম | আপডেট : ৭:২০ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০১৯

কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও অদক্ষতার কারণেই যান্ত্রিক ত্রুটি হওয়ার কারণে বিকল হয়ে পড়ায় ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের উভয় পাড়ে পারাপারের অপেক্ষায় এখনও রয়েছে প্রায় দুই শতাধিক যানবাহন। বুধবার (২৪ জুলাই) থেকে দুটি ফেরী বিকল হলে নতুন একটি ফেরী ও চাঁদপুরের থেকে আসা একটি ফেরী সহ দুটি ফেরী চলাচল করলেও উভয় পাড়ের জট কমছে না। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীরা। ঘাটে দিনের পর দিন অপেক্ষা করেও ফেরীর দেখা মিলছে না । এতে করে দুই পাড়ে দীর্ঘ লাইন পড়ায় গন্তব্যে যেতে পারছে না পন্যবাহি ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন। এতে চরম বিড়ম্বনার, দুর্ভোগ আর লোকসানের মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

সূত্র জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও অদক্ষ প্রকৌশলীদের কারনেই বার বার যান্ত্রিক ত্রুটি হচ্ছে আর যানবাহন আটকা পরে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে মানুষের। প্রকৌশলীরা যেন তেন ভাবে ঠিক করে ফেরী লাইনে দিলে এক ট্রিপ দুই ট্রিপ দিয়েই বন্ধ হয়ে যায়। দুই একদিন চলা চলের পর আবার বিকল হয়ে পরে। দেশের সবচেয়ে দীর্ঘতম ভোলা-লক্ষীপুর ফেরী রুটটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগের অন্যতম সহজ মাধ্যম। এ রুটে কনকচাপা, কৃষাণী ও কলমি-লতা নামে ৩টি ফেরী নিয়মিত চলাচল করে আসছিলো। কিন্তু গত ৫ দিন আগে ২টি ফেরী যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল হয়ে পড়ায় যানবাহন পারাপারে মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। এখন চাঁদপুরের থেকে আরও একটি ফেরী এনে যানবাহন চলাচলের কিছুটা চেষ্টা হচ্ছে।

আজও ফাটকা থাকা ট্রাক চালকরা জানান, ঘাটে তারা ৮ / ৯ দিন ধরে অপেক্ষা করছি কিন্তু গন্তব্যে যেতে পারছিনা, যানজটের কারণে, কবে যেতে পারবেন তাও তাদের জানা নেই। তাদের অভিযোগ, দিনে একবার ফেরী চলাচল করে, তাই ঘাটেই বসে থাকতে হয়। ফেরী সচল না হওয়া পর্যন্ত ভোগান্তি পোহাতে হবে। কয়েকজন ট্রাক চালক জানান, ভোলা-লক্ষীপুর রুটটি গুরুত্বপূর্ন হলেও অবহেলিত, একের পর এক সমস্যা লেগেই আছে। এখাতে বাড়তি ফেরী প্রয়োজন। সামনে ঈদ খুব দ্রুত ফেরীর সমস্যার সমাধান না হলেও ভোগান্তির সীমা থাকবে না।

ঘাটে গিয়ে জানা গেল, একটি মাত্র সচল ফেরী দিয়ে কিছুটা যানবাহন পারাপার হলেও ফেরীর ট্রিপ কমে যাওয়ায় উভয় পাড়ে পরিবহনের দীর্ঘ লাইনজটের সৃষ্টি হয়েছে। জট কমাতে বুধবার আরো একটি ফেরী যুক্ত করা হয় কিন্তু কিছুতেই জট কমছে না। এতে চরম দুর্ভোগ আর ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে ট্রাক ও পরিবহন শ্রমিকরা।

কবে নাগাদ ফেরী সচল হবে তাও জানেনা কেউ। বেশীরভাগ ট্রাকই ঘাটে ৫/৭দিন ধরে আটকে আছে। একের পর এক সমস্যার কারণে এ রুটটি এখন বিড়ম্বনায় আর ভোগান্তিতে অতিষ্ঠ চলাচলকারীরা । তাই এখানে আরো ফেরী চালুর দাবী তাদের। আজ শুক্রবার বিআইডব্লিটিসির ইনচার্জ মো: এমরান খান জানান, ৩ টির মধ্যে দুটি ফেরী বিকল রয়েছে, চাঁদপুর থেকে একটি ফেরী আনা হয়েছে। এখন দুটি ফেরী চলাচল করছে।কিন্তু তাতে যানবাহনের যানজট কমছেই না। এখন ও প্রায় দুই শতাধিক গাড়ি ফাটকা আছে। প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত প্রকৌশলীদের দিয়ে বিকল ফেরী গুলো ভালভাবে মেরামত করা না হলে ঈদের সময় অারো সংকট দেখা দিবে। বিকল ফেরীগুলো মেরামত কাজ চলছে। ঘাটের জট কমাতে চাদপুর থেকে আসা একটি সহ মোট দুটি ফেরী চলছে। শীগ্রই সব ফেরী সচল হবে বলে আশা করছি। ফেরীগুলো সচল হলে এক সপ্তাহের মধ্যে জট কমে যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ