Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সংকীর্ণ রাস্তায় বাড়ছে দুর্ভোগ

বিরামপুর-ঢাকা মহাসড়ক চার লেন করার দাবি

বিরামপুর (দিনাজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৯, ১২:০১ এএম

দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার মধ্যে দিয়ে ‘বিরামপুর-ঢাকা’ মহাসড়ক। সড়কটি এতই সংকীর্ণ যে একটি গাড়ি চলাচল করলে পাশে দিয়ে অন্য একটি গাড়ি চলাচল করতে পারে না। এতে বিরামপুর মহাসড়ক যানজটের নগরীতে পরিনত হচ্ছে। প্রতিদিন এ রাস্তায় যানজট লেগেই আছে। বিরমাপুরের একমাত্র পাকা এই সড়কে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। জরাজীর্ণ রাস্তাটি চারলেন করার দাবি উত্তর জনপদের মানুষের। যানজটের দীর্ঘ লাইন চেখে পড়ারমতো। সংকীর্ণ এ পাকা রাস্তায় যে হারে যানবাহনের ভিড় চলছে এবং যেহারে পার্বতীপুরের কয়লা খনি ও চুনা পাথরের খনি থেকে ওভারলোড যানবাহন এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করায় নষ্ট হচ্ছে সড়ক। ১০ চাকার ওভার লোডগাড়ি ভারে রাস্তাটি চলাচল অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। বর্তমানে এ রাস্তায় যান বাহনের গতি নেই। গতিহীন রাস্তায় সঠিক সময় কোন যানবাহন গন্তব্য স্থালে পৌছাতে পারে না বলে বাস, ট্রাক ড্রাইভার ও যাত্রীদের অভিযোগ। 

বৃহত্তর দিনাজপুরবাসীর দাবি এ মহাসড়কটি চারলেন করার। বর্তমান সংকীর্ণ এ মহাসড়কটি প্রসস্তকরণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় হাজার হাজার মানুষ। বিরামপুরে মহাসড়কটি দিয়ে প্রতিদিন বৃহত্তর দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁ, পঞ্চগড় জেলার হাজার হাজার দূরপাল্লার যানবাহন এ রাস্তার চলাচল করে। কারণ সময় কম লাগে। রাজধানী ঢাকার দূরত্ব কমে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে শত শত যানবাহন। ফলে যান চলাচলের ভীড় বেড়েই চলছে। বর্তমানে এ রাস্তায় বিটুমিন নেই। বৃষ্টি হলেই পানিতে তলিয়ে যায় খানাখন্দে ভরা এ সড়কটি। যাত্রীকুলের ভোগান্তি আর একটি নাম বিরামপুর-ঢাকা সহাসড়ক। দিনাজপুর থেকে গোবিন্দগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ৯৫ কি.মি. ‘দিনাজপুর-ঢাকা মহাসড়কটিতে’ যান চলাচলে দুর্বিসহ যানযট লেগেই চলছে। যাত্রীদের নিদারুন ভোগান্তি মাইলের পর মাইল যানজট। বর্তমানে এক লেনের রাস্তাটি যানবাহনের চাপে নুয়ে পড়ছে। যাত্রীদের দাবি এ রাস্তাটি প্রসস্ত করা হোক।
সওজের তথ্য মতে জানা য়ায, চলতি বছর নিজস্ব অর্থায়নে বিরামপুর-ঢাকা মহাসড়ক মেরামত ও পুনঃনির্মাণের জন্য (৩৩ ফিট চওড়া) প্রায় ৯৫ কি.মি. পাকাকরণ, নতুন ১০০টি কালভাটের জন্য ৮৮০ কোটি টাকা বরাদ্ধ হয়। এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ বিভাগের বিভাগীয় প্রকৌশলী কামিনী কান্ত রায় জানান, তিন বছর মেয়াদী এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে দু’লেনে যানবাহন চলাচল করতে পারবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ