Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুচিয়া চাষ করে স্বাবলম্বী

মো. আমির হোসেন, চরফ্যাশন (ভোলা) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৯, ১২:০১ এএম

দেশের অর্থনীতিকে সাফল্য করতে এবং বেদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্যে চরফ্যাশনে চাষাবাদ ১০ পরিবার কুচিয়া চাষাবাদ করে এখন সাভলম্বী। এ পরিবারগুলোকে অর্থ যোগান দিচ্ছেন পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। বাস্তবায়ন করছেন বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) পরিবার উন্নয়ণ সংস্থা (এফডিএ)। চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা এলাকায় এই ১০টি কুচিয়া চাষের খামার। ২০১৮ সালে শুরু হয় চরফ্যাশনের কুচিয়া চাষাবাদ। বর্তমানে লাভজনক অবস্থানে থাকা কয়েকটি পরিবার এখন কুচিয়া চাষাবাদের প্রতি ঝুঁকতে শুরু করে দিয়েছেন বলে জানা যায়। 

গতকাল শুক্রবার সরেজমিন গিয়ে কয়েকটি কুচিয়া খামার পরিদর্শণ করে দেখা গেছে, খামারি সকলেই হিন্দু সম্প্রদায়ের। তারা এই কুচিয়া চাষাবাদ করে খুবই আনন্দিত। ছেলে মেয়ে পরিবার পরিজন সকলেই খুবই আনন্দ উপভোগ করেছে। তারা বলেন, আমারা এ কুচিয়া ঢাকা রপ্তানি করি। সেখানে দেশের বেশ কিছু উপজাতি রয়েছে, তারা কুচিয়া খাচ্ছেন। বাকি কুচিয়া বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে।
মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইদুর রহমান বলেন, আমাদের দক্ষিণ আইচায় একটি কুচিয়াপল্লী হিসাবে একই স্থানে ১০টি থামার রয়েছে। ১০ জন চাষি খামারের মাধ্যমে কুচিয়া চাষ করেছে। এই জন্যেই আমরা কুচিয়াপল্লী হিসেবে নাম করণ করেছি। কুচিয়া সাধারণত ছোট রেনু পোনা ও কেঁচো খায়।
নজরুল নগরের কুচিয়া চাষী কমল কুলু জানান, এক শতাংশ খামার রয়েছে। আমি চাষাবাদের পর থেকে অনেক লাভবান হচ্ছি। এই খামারে চাষাবাদ করে ৫/৬ মাসে ৩০/৪০ হাজার টাকা আয় করি। যে পরিবার খরচ যা তা পুষিয়ে বর্তমানে ভাল অবস্থানে রয়েছি। সন্তানের লেখা পড়ার খরচ যোগিয়ে বেশ কিছু টাকা ব্যাংক রয়েছে।
এফডিএ‘র নির্বাহী পরিচালক কামাল উদ্দিন বলেন, আমরা পিকেএসএফ-এর আর্থিক সহায়তা চরফ্যাশনে নতুন কিছু আবিস্কারের চেষ্টা করছি। ইতোপূর্বে সৌদিআরবের খেজুর পরীক্ষামূলক আমাদের ভাউন্ডারিতে লাগানো হয়েছে। গাছগুলো বড় হতে শুরু করেছে। ট্যাংকের ভেতর উন্নত পদদ্ধিতে মাছ চাষ করা হচ্ছে। আরো কিছু নতুন প্রদদ্ধিতে বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। তা শিঘ্রই আমরা কর্মপরিকল্পা মধ্যে নেয়া হয়েছে। প্রকল্প সমন্বয়কারী শংকর দেবনাথ বলেন, আমাদের প্রত্যেক চাষাবাদ রয়েছে আকর্ষনীয়। আমরা এই কুচিয়া, কাকড়াসহ বিভিন্ন নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি। ইতোপূর্বে কুচিয়া চাষিদেরকে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্যে একাধিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার বলেন, আমি কুচিয়া খামারগুলো পরিদর্শন করছি। চাষিদেরকে উৎসাহিত করার জন্যে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তারা চাষাবাদ করে খুবই মজা পাচ্ছে। এইগুলো আমাদের দেশে খাওয়া যায়না তার জন্যে ধরে নেয়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না। চাষিগন চাষাবাদ করে পাহাড়া দেয়ার প্রয়োজন হয়না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ