Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিরাজদিখানে সবজি নিয়ে বিপাকে কৃষক

সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) থেকে ইসমাইল খন্দকার | প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০১৯, ১২:০২ এএম

আকস্মিক পানি বৃদ্ধি পেয়ে সিরাজদিখান উপজেলার বিস্তীর্ণ ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। এতে শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধিতে জমি তলিয়ে ফসল বিনষ্ট হওয়ার আশংকায় অনেকেই আগে ভাগেই শাক-সবজি উত্তোলন শুরু করে দিয়েছে। এতে করে কৃষকদের লাভের বদলে গুনতে হচ্ছে লোকসান। বর্ষার পানি বৃদ্ধি এবং ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় কৃষকরা তাদের জমির ফসল তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের কংসপুরা গ্রামে সরেজমিনে ঘুরে এ চিত্র ফুটে উঠেছে। এদিকে, উপজেলার বালুরচর ইউনিয়নের বালুরচর, লতব্দী ইউনিয়নের কংসপুরা ও লতব্দী, বাসাইল ইউনিয়নের পাইন্নারচর, রশুনিয়া ইউনিয়নের রশুনিয়া ও ইছাপুরা ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের বিস্তীর্ণ ফসলি জমি এখন পানির নীচে।

সরেজমিনে কংসপুরা গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে- পানি বৃদ্ধি পেয়ে সেখানকার বিস্তীর্ণ ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। সেখানকার অধিকাংশ কৃষকের নিচু জমি তলিয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। আর অধিকাংশ জমিতেই কৃষককুল লাল শাক, পুইশাক, চিচিংগা, ধুন্দুল, চাল কুমরা, মিষ্টি কুমরা, কাকরলসহ বিভিন্ন শাক-সবজির পাশাপাশি রোপা আমন ধানও আবাদ করেছিল। কিন্তু হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে জমিতে থাকা ওই সব ফসল তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় কৃষককুল জমি থেকে শাক-সবজি উত্তোলন করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আবাদ করা ফসলে যেখানে লাভের আশায় বুক বেধেছিলেন কৃষককুল। অথচ এখন সেখানে ফসল তলিয়ে যাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন তারা। আবার পানিতে তলিয়ে যাওয়া ফসল উত্তোলন করার কারনে ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না কৃষককুল।

পূর্ব কংসপুরা গ্রামের কৃষক বিল্লাল হোসেন (৫০) বলেন, হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় আমার প্রায় ৯০ শতাংশ জমির লাল শাক পানির নিচে তলিয়ে গিয়েছে। এতে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লোকসান হবে। তাই বাকি যতটুকু আছে তা এখুনি তুলে ফেলতে হচ্ছে। নয়তো বাকী লাল শাকও বর্ষার পানিতে তলিয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, একটি জমি থেকে তিন বার শাক সংগ্রহ করা যায়। সেখানে বাধ্য হয়ে এক বারই শাক উত্তোলন করে ক্ষ্যান্ত হতে হচ্ছে। তাই এবার শাক আবাদ করে লোকসান গুনতে হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র রায় বলেন, বর্ষার পানি বৃদ্ধিতে কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সে বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিতেছি এবং বর্ষা মৌসুমেও কচুরি পাঁনা দিয়ে ব্যাট তৈরি করে সব্জি চাষ করা যায়।এতে খরচও কম হয়।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ