বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী নাকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কাকে অযোগ্য বলবেন সে প্রশ্ন করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, দেশে আজ কোনও সরকার আছে বলে দেশবাসী মনে করে না। তিন বছরের শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত- কেউ ধর্ষণের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। গণপিটুনির নামে দেশজুড়ে মানুষ হত্যার মহোৎসব শুরু হয়েছে। গত ১৫ দিনে শেয়ার মার্কেট থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা উধাও হয়ে গেছে। এমন দুঃসহ অবস্থায় রাষ্ট্র পরিচালনায় কাকে অযোগ্য বলবো- প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী নাকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে? গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘অপরাজেয় বাংলাদেশ’ নামক একটি সংগঠন আয়োজিত কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দেয়ার দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
স¤প্রতি আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের দেয়া বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, গত এক শতাব্দিতে এরকম একজন অযোগ্য আইনমন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণ প্রত্যক্ষ করেনি। আজ রাস্তায় বের হতে ভয় লাগে। কেউ জানেনা কখন কাকে কোথায় পিটিয়ে হত্যা করা হয়। অথচ আইনমন্ত্রী এসব ঘটনাকে বিরোধীদলের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়ন ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহা দেশদ্রোহিতামূলক নালিশ করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার পরও আইনমন্ত্রী বলেছেন- এটা দেশদ্রোহী বক্তব্য নয়, একটা ছোট্ট একটা ঘটনা। এরপরও কি আমরা আইনমন্ত্রীকে যোগ্য বলতে পারি?
বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন, সরকার যখন দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে তাহলে জনগণের টাকায় বেতন কেন নেবে? প্রধানমন্ত্রী বন্যাদুর্গতদের রেখে লন্ডনে চলে গেলেন। দেশে খুন-ধর্ষণের মহোৎসব চলছে, গণপিটুনিতে মানুষ হত্যা শুরু হয়েছে- কেউ দেখার নেই। যদি তাই হয় তবে সরকারেরই বা কী দরকার আছে? এই সরকার তো এমনিতেই অবৈধ, ভোটারবিহীন, দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার। এই সরকার বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বিলুপ্ত করে, মাটি দিয়ে, কবরস্থ করেছে।
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রসঙ্গে দুদু বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও বেগম খালেদা জিয়াকে যদি মুক্ত করতে হয় আন্দোলন ও প্রতিবাদ ছাড়া দ্বিতীয় কোনও পথ নাই। বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি দেশে চলছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে একচোখা নীতি তাতে করে আইনি পথে বেগম জিয়া মুক্তি পাবেন সিনিয়র আইনজীবীরাও তা মনে করেন না। তিনি বলেন, আন্দোলন ও প্রতিবাদ মানুষকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শেখায়। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার। এই জাতি মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল। সেই মুক্তিযুদ্ধকে আওয়ামী লীগ সরকার অপমাণিত করেছে।
নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আমরা মনে করি প্রতিবাদ ও আন্দোলন ছাড়া এই দেশে বেঁচে থাকা অসম্ভব। তাই আসুন সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তুলি। রাজপথে নামি। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করি। গণতন্ত্রকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করি।
আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি খলিলুর রহমান ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সিরাজীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, বিএনপির সহ-শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ফরিদা মনি শহীদুল্লাহ, কৃষক দলের সদস্য লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার ও কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।