পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতিশ্রুতি পূরণ নিয়ে উন্নত দেশগুলোর সমালোচনা করলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলো যেসব প্রতিশ্রুতি দেয় তা কখনো পূরণ করে না। তাই বলে তো হাত গুটিয়ে বসে থাকলে হবে না। যা কিছু করত হবে এই কাঁদামাটি থেকেই করতে হবে। জাতিসংঘের সদর দফতরে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর ইফেক্টিভ ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন (জিপিইডিসি) এর সম্মেলনে অংশ নিয়ে দেশে ফিরে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে আমরা কারও কাছে দান খয়রাত চাই না। আমাদের কাজের সুযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুযোগ দিলেই হবে। জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবিলায় এরমধ্যে আমরা নিজেরাই একটি ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছি। এসডিজির বিষয়টি বাজেটের সঙ্গে যুক্ত করায় সেটির বাস্তবায়ন সহজ হচ্ছে।
এ সময় পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. নূরুল আমিন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, আইএমইডির সচিব আবুল মনসুর মো.ফয়েজ উল্লাহ, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শামীমা নারগিসসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জাতিসংঘের এই সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সবার সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। হাঙ্গেরি আমাদের পানি ব্যবস্থাপনায় সহায়তা দিতে চেয়েছে। সেখানে প্রবাসী বাংলাদেশীদের এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আমি তাদের বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। মন্ত্রী জানান, আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ভাল হচ্ছে। রাজস্ব আদায় বাড়ছে সুতরাং এসডিজি বাস্তবায়নে কোনো সমস্যা হবে না।
ড. শামসুল আলম বলেন, এসডিজি বিষয়ে সারা বিশ্বের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অর্থায়ন। পরিবেশের ঝুঁকি মোকাবেলায় বৈশ্বিক সহায়তা প্রয়োজন। এজন্য আমাদের যেটি করতে হবে সেটি হচ্ছে পিপিপি এবং সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে বাড়াতে হবে রাজস্ব হারও। তিনি জানান, আগামীতে শুধু আয় দিয়ে দারিদ্র্য পরিমাপের পদ্ধতিটি বাদ দেওয়া হবে। এখন দারিদ্র বহুমাত্রিকতা দিয়ে পরিমাপ করা হয়। যেমন একজন মানুষ কোথায় বাস করে, তার শিক্ষা, চিকিৎসা কি ধরণের ইত্যাদি প্রায় ১০টি সূচক দিয়ে অনেক দেশ দারিদ্র্যের পরিমাপ করে। আমাদেরকেও সেদিকে যেতে হবে। তিনি জানান, বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এগিয়ে রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশের যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য একটি মূল্যায়ন করা হচ্ছে। কি ধরণের প্রভাব পড়বে সেখান থেকে উত্তরণে উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়গুলো থাকবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমদ বলেন, এলডিসি থেকে বেরিয়ে গেলে হয়তো স্বল্প সুদে ঋণ এবং কিছু সুবিধা পাওয়া যাবে না। কিন্তু ঋণ প্রাপ্তির অনেক পথই খুলে যাবে। তাছাড়া জিএসপি সুবিধা না থাকলেও জিএসপি প্লাসতো আছেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।