রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের শেখপুরা গ্রামের যুবক সিরাজুল ইসলাম মাতুব্বর (২৮) হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। গত রোববার বিকাল থেকে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত কাউলীবেড়া বাজারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে মামলার বাদী, নিহতের ভাই মো. আলী মিয়া অভিযোগ করেন, এজাহারভুক্ত আসামিদের পুলিশ গ্রেফতার না করায় উল্টো আমরাই শংকার মধ্যে আছি। আসামি পক্ষের লোকজন মামলা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্যে হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এলাকাবাসী রওশন কাজীসহ অন্যরা অভিযোগ করেন, এ হত্যাকান্ডের বিষযে পুলিশি ভুমিকা সন্তোষজনক নয়। তারা দাবি করেন, আশপাশের এলাকায় ইতোপুর্বে আরো দুটি খুন হলেও পুলিশ কার্যকর ভুমিকা না নেয়া একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।
এ দিকে নিহতের মা ও বাবা সুর্য্য মিয়া জমিজমা নিয়ে প্রতিবেশী মো. নাসির উদ্দিন ও মামুন মাতুব্বরদের সাথে বিরোধের জের ধরে তার তৃতীয় সন্তান সিরাজুল ইসলামকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে তারা হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এদিকে এ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি মো. নাসির উদ্দিন ও তার ভাই মো. মামুন মাতুব্বর তাদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আসামি করা হয়েছে দাবি করে বলেন, কোনভাবেই আমরা এঘটনার সাথে সম্পৃক্ত নেই। জমি নিয়ে যে বিরোধ ছিল তা মাস দেড়েক আগে শালিসের মাধ্যমে মিটে গেছে। তারা দাবি করেন, গ্রাম্য রাজনীতির দ্বন্দের কারণেই আমাদের মামলায় আসামি করা হয়েছে।
ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী সাঈদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর থেকেই পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে তৎপর রয়েছে। কিন্তু আসামিরা এলাকায় না থাকায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, এজাহার থেকে জানা গেছে, গত ১২ জুলাই রাত বারোটার দিকে প্রতিবেশী মামুন মাতুব্বর গরু দেখার কথা বলে সিরাজুলকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর আর সে ঘরে ফেরেনি। ১৩ জুলাই বাড়ি পাশের পাট ক্ষেত থেকে সিরাজুলের ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্বার করা হয়। এঘটনায় ১৩ জুলাই নিহতের ভাই মো. আলী মিয়া বাদী হযে আট জনের নাম উল্লেখ করে আরো কয়েকজন অজ্ঞাতনানামার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।