রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানাধীন লস্করদিয়া ইউনিয়নের লস্করপুর গ্রামে আদালতের আদেশ অমান্য করে গ্রামীনফোন টাওয়ার স্থাপনের জন্য পাশবর্তী জমির মালিককে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে গ্রামীনফোন টাওয়ার স্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আ. মান্নান শেখ গং।
সূত্রে জানা যায়, মো. মাজহারুল ইসলাম ও মান্নান শেখ ৩১/০১/১৮ তাং লিজ চুক্তি অনুসারে ১৬০নং লস্করপুর মৌজার এস.এ ৭৩ নং, এবং বি.এস ৮১ নং দাগের ভূমির ৩.৯০ শতাংশ ১৭০০ বর্গফুট উপরে গ্রামীনফোন টাওয়ার বসানোর চুক্তি করে এবং তাকে বলা হয় বাদী মো. মাজহারুল ইসলামের স্বত্বদখলীয় ভূমির উপর দিয়ে কোন প্রকার বৈদ্যুতিক তার নিতে পারবে না এবং জমির কোন ক্ষতি হবে না। স্বত্বদখলীয় ভূমিতে জোর জবরানে প্রবেশ করতে পারবে না এবং হাই ভোল্টের বিদ্যুতিক তার নিতে পারবে না। বিবাদীগন মান্নান শেখ এ রকম কাজ করলে মাজহারুল হকের অপূরনীয় ক্ষতি হবে যা অর্থ দ্বারা পূরন করা সম্ভব নয়। এরূপ চুক্তি করলেও অর্থের লোভে সেই চুক্তি কোনভাবেই গ্রহন করছেন না আ. মান্নান শেখ। পরবর্তীতে টাওয়ার স্থাপনের আশেপাশে ভূমি মান্নান শেখের দাবি করে টাওয়ার স্থাপনের কাজ শুরু করেন। এ অবস্থায় ভূমির মালিক তার ভূমির ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার কারনে কাজ করতে বাধা দিলে আ. মান্নান শেখ জালাল শেখের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিতে থাকে।
পরবর্তীতে গত ০২/০৭/২০১৯ ইং তারিখ নগরকান্দা সিনিয়র জজ আদালতে মামলা করেন। মামলা নং-২। আদালত থেকে টাওয়ার নির্মানের সকল কাজ স্থগিত করার নির্দেশ করে। কিন্তু বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও মান্নান শেখের (পিতা. মরহুম আ. গফুর শেখ) সহযোগী জালাল শেখ গ্রামীনফোন টাওয়ার নির্মাণ করার জন্য বিভিন্নভাবে শহিদুলের সহযোগিতায় মো. মাজহারুল হক (দাউদ), পিতা মরহুম আ. হামিদ মাতুব্বর কে প্রান নাশের হুমকি দেন।
নগরকান্দা থানায় যোগাযোগ করলে ডিউটি অফিসার আদালতে যাওয়ার জন্য বলেন। এবং ১৪৪ ধারা নোটিশকারী এস আই রবিউল ইসলাম বলেন, তারা আদালত থেকে টাওয়ার নির্মাণ করার অনুমতিপত্র এনে কাজ করছে, কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় টাওয়ার নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য বিবাদি পক্ষের (মান্নান শেখ) কাছে আদালতের কোন অনুমতি নেই। পরবর্তীতে মোবাইল ফোনে এসআই রবিউল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আদালতের অনুমতিপত্র এবং এর কোন সত্যতা দিতে পারেন নি।
মাজাহারুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমি বিজ্ঞ আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল কিন্তু বিবাদি পক্ষ আ: মান্নান শেখের সহোযোগী শহিদুল শেখ আদলতের আদেশ অমান্য করে কাজ চালিয়ে যান। বাদীপক্ষ গত ১৬/০৭/২০১৯ ইং তারিখে ফরিদপুর পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।