পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংখ্যালঘুদের নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে করা অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে বাংলাদেশি নারী প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করে যেভাবে বলেছেন; সারা বাংলাদেশ আজ বিস্ময় প্রকাশ করেছে। এ ধরনের ঘটনা আমি তো বটেই... আমি আজকে সাড়ে পাঁচ বছর হলো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, এ ধরনের কোনো ঘটনা আমরা কিন্তু জানি না। রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসভবনে গতকাল শনিবার সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
অন্যদিকে গতকাল ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মনগড়া তথ্য উপস্থাপনের অভিযোগে প্রিয়া সাহাকে আইনি প্রক্রিয়ার আওতায় আনতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এ ছাড়া গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডিতে প্রিয়া সাহার বাসার সামনে মানববন্ধন করেছে একদল শিক্ষার্থী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, কোন জায়গাটিতে এ ঘটনা ঘটেছে, কে কে ভিকটিম হয়েছে, এ সম্বন্ধে আমাদের কোনো আইডিয়া নেই। কেন তিনি এ ধরনের অসত্য বক্তব্য দিলেন, এটা আমাদের জানা নেই। তিনি এলে নিশ্চয়ই আমরা জিজ্ঞেস করব- কোথায় ঘটনাটি ঘটেছে, কার বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, আমরা সঠিক তদন্ত করিনি কিংবা করেছি। সেটা আমরা অবশ্যই দেখব। আমার মনে হয়, এ ধরনের অসত্য খবর দেয়ার পেছনে নিশ্চয়ই একটা কারণ থাকতে পারে। তার একটা উদ্দেশ্য থাকতে পারে। সেই উদ্দেশ্যটা কী, সেটাও দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা তাকে অবশ্যই জিজ্ঞেস করব- কখন কোথায় কিভাবে হলো এটা? নিশ্চয়ই তিনি একটা উত্তর দেবেন, সেই অনুযায়ী আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।
রাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কি না- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন বাইরে। তিনি আসুক। এখন আমরা যেটা করব, সে (প্রিয়া দাস) এলে তাকে আমরা জিজ্ঞেস করব কোন জায়গায় ঘটনাটি ঘটেছে। তার ঘটনা অনুযায়ী আমরা পরীক্ষা করব, এরপর যদি তার ঘটনা সত্যি না হয়, আইন অনুযায়ী যে সিদ্ধান্ত নেয়ার আমরা সেটা নেব। সে ফিরে আসুক।
গতকাল দুপুরে রাজধানীতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, প্রিয়া সাহা যে অভিযোগ করেছেন, তা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। ইতোমধ্যে তাকে আইনি প্রক্রিয়ায় আনতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। তার এমন মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যোগাযোগ করছে। সমস্ত বক্তব্য, তথ্য-প্রমাণ তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাংলাদেশে চলমান সব উন্নয়ন, গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব ও অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে এটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ‘সহিংস উগ্রবাদ বিরোধী’ ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসি। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া এবং দারুননাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থীরা।
যুবকদের প্রতিবাদ
শনিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে প্রিয়া সাহার বাসার সামনে সচেতন ছাত্র সমাজের ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধন থেকে তারা প্রিয়া সাহার বাসায় তালা দেয়ারও প্রস্তুতি নেয়। পরে মানবিক দিক বিবেচনায় তা প্রত্যাহার করে।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া আব্দুল কাইয়ুম নামে শিক্ষানবিশ আইনজীবী বলেন, তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন। তিনি সংখ্যালঘুদের কথা চিন্তা করে নয়, বরং তার যে দুই মেয়ে আমেরিকা প্রবাসী তাদের নাগরিকত্ব পেতে ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করেছেন।
ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি অনেক কঠিন। তিনি মিথ্যাচার করে তার দুই মেয়ের নাগরিকত্ব নেয়ার পথ পরিষ্কার করছেন।
শুভ অধিকারী নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, বাংলাদেশ সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতির দেশ। আমরা সব ধর্মের লোক মিলেমিশে বসবাস করছি। ৩ কোটি ৭০ লাখ সংখ্যালঘু খুন ও গুমের যে তথ্য দিয়ে প্রিয়া সাহা ট্রাম্পের কাছে নালিশ করেছেন, তা আমরা মানতে পারিনি। তাই আমাদের অবস্থান জানাতে তার সামনে দাঁড়িয়েছি। আমাদের সঙ্গে এখানে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান- সব ধর্মের লোক উপস্থিত আছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।