পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুমিল্লায় বিচারকের সামনে আসামি হত্যার ঘটনায় পুলিশের গাফলতি ছিলো। এমন মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, এজলাসে ছুরি নিয়ে ঢুকে যায় লোকজন! সেটা ধরা পড়ে না। পুলিশের তাহলে কাজ কী? পুলিশ কী করে? যেখানে বিচারকদের নিরাপত্তা নেই সেখানে ন্যায়বিচার আসবে কীভাবে ? গতকাল বুধবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের ডিভিশন বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দেন। হাইকোর্ট প্রশ্ন তুলে বলেন, আদালতে কী নিরাপত্তা দিচ্ছে পুলিশ ? জজ সাহেবদের নিরাপত্তা কোথায়? বিচারক, আইনজীবী ও আদালতের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। পরে আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেন ৩০ জুলাই।
পরবর্তীতে জারি করা রুলে সারা দেশের আদালতে আইনজীবী, বিচারক ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানতে চান হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কুমিল্লার ঘটনায় যারা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তাও জানাতে সরকারপক্ষীয় আইনজীবীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১৫ জুলাই কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাতেমা ফেরদৌসের আদালতে হত্যা মামলার আসামি আবুল হাসান অপর আসামি ফারুক হোসেনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দিগ্রামের আবদুল করিম হত্যা মামলার আসামি তারা। সম্পর্কে আসামিরা মামাতো-ফুফাতো ভাই। আলোচিত এ ঘটনায় সারাদেশের বিচারকদের নিরাপত্তা চেয়ে রিট করেন এক বিচারকের স্ত্রী সুপ্রিমকোর্ট বারের আইনজীবী ইশরাত হাসান। এ রিটে তিনি নিজেই শুনানি করেন। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। শুনানিকালে আদালত বলেন, কুমিল্লার পর গত ১৬ জুলাই সুপ্রিমকোর্ট বারেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ অবস্থায় কোর্টে আইনজীবী, জাজ ও কর্মকর্তাদের সিকিউরিটির জন্য কী পদক্ষেপ নিলেন। সরকারপক্ষের আইনজীবী বলেন, কুমিল্লা এবং সুপ্রিমকোর্ট বারের দুটি ঘটনাই ব্যক্তিগত। এ সময় আদালত বলেন, ব্যক্তিগত হোক আর যা-ই হোক- কোর্টের ভেতরে ছুরি নিয়ে কীভাবে যায় ? পুলিশ কী করে? ডেফিনেটলি এটা পুলিশের নেগলিজেন্সি। এ সময় আবেদনকারী আইনজীবী বলেন, নিরাপত্তা তো সবার জন্য। উনিও (সরকারের আইনজীবী) এমন পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন। তাই আইনজীবী, বিচারকসহ সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।