Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খুলনায় বাবা-মেয়ে হত্যা পাঁচজনের ফাঁসি

খুলনা ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

খুলনায় ব্যাংক কর্মকর্তা পারভীন সুলতানাকে গণধর্ষণের পর বাবা ইলিয়াছ আলীসহ শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে ৫ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ৩ নং ট্রাইব্যুনালের বিচারক মহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেছেন স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ। এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষকে সহায়তায় রয়েছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার পক্ষে অ্যাডভোকেট কাজী সাবিক্ষর আহমেদ, অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট তসলিমা খাতুন ও অ্যাডভোকেট কুদরত-ই-খুদা। বহুল আলোচিত এ হত্যাকাÐের ৩ বছর ৯ মাস ২৭ দিন পর খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ৩ নং ট্রাইব্যুনালে রায় ঘোষণা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেছেন স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ।
ফাঁসির আসামিরা হলেন- লবণচরা থানাধীন বুড়ো মৌলভীর দরগা রোডের বাসিন্দা শেখ আব্দুল জলিলের ছেলে সাইফুল ইসলাম পিটিল (৩০), তার ভাই শরিফুল (২৭), আবুল কালামের ছেলে লিটন (২৮), অহিদুল ইসলামের ছেলে আবু সাইদ (২৫) ও মৃত সেকেন্দারের ছেলে আজিজুর রহমান পলাশ (২৬)। এদের মধ্যে শরিফুল পলাতক।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকাÐের এ মামলায় ২২ জন ও গণধর্ষণের মামলায় ২৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত। আসামিদের মধ্যে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় ২ জনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে রোমহর্ষক এ হত্যাকাÐের বর্ণনা রয়েছে। চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ৩ নং ট্রাইব্যুনালে মামলাটির যুক্তিতকশুরু হয়। মামলার তদন্তের সময় হত্যাকাÐের সঙ্গে জড়িত ৫ জনের মধ্যে ৪ জন গ্রেফতার হয়। এছাড়াও গ্রেফতার করা হয় পিটিলের স্ত্রী আসমা খাতুন, নোয়াব আলি গাজী ও আসলাম মিস্ত্রি নামের একজন সন্দেহভাজনকে। তাদের মধ্যে লিটন ও সাঈদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উঠে আসে হত্যাকাÐের ঘটনা।
তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলে, ব্যাংক কর্মকর্তা পারভীন অফিসে আসা-যাওয়ার পথে আসামিরা কু-প্রস্তাবসহ নানাভাবে যৌন হয়রানি করতো। এর প্রতিবাদ করায় ঘটনার দিন রাতে বাড়ির দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে ৫ আসামি। এরপর অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পারভীনের বাবাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পাশের রুমে থাকা পারভীনকে ৫ জন মিলে গণধর্ষণের পর হত্যা করে সেফটিক ট্যাংকির মধ্যে বাবা ও মেয়ের লাশ ফেলে দেয়। পরে ঘরে লুট চালিয়ে পালিয়ে যায় তারা। নগরীর লবণচরা থানাধীন বুড়ো মৌলভীর দরগা এলাকার ৩ নং গলির ঢাকাইয়া হাউজ এপি ভিলা নামের বাড়িতে ২০১৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর নৃশংস এ হত্যাকাÐের ঘটনা ঘটে।
এদিকে আসামিদের ফাঁসির রায় হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন পারভীন সুলতানার ভাই রেজাউল আলম চৌধুরী বিপ্লব। তিনি বলেন, এ বিচারের রায়ে আমরা খুশি হয়েছি। সম্পূর্ণ আস্থা ছিলো বিচারকের প্রতি। সঠিক রায় পাবো এ ধারণা ছিলো। সঠিক রায় পেয়েছি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ