Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফেরত গেল প্রতিবন্ধীবান্ধব টয়লেটের টাকা

সিসিতে সিএইচসিপি অনুপস্থিত, জনগণের ভোগান্তি শেষ নেই

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

ময়মনসিংহের নান্দাইলে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পের কোটি টাকা ফেরত যাবার পর এবার প্রতিবন্ধিবান্ধব টয়লেটের ৮০হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত যায়।

জানা যায়, নান্দাইল উপজেলা হাসপাতালে প্রতিবন্ধিদের জন্য টয়লেট তৈরীর টাকা ভাগা-ভাগির মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় বরাদ্দের সাকুল্য টাকা ফেরত চলে যায়। এ ঘটনায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ইউএইচএ), ক্যাশিয়ার ও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) একে অন্যকে দোষারোপ করছেন।

জানা যায়, প্রকল্পটি ময়মনসিংহের ১২টি উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলা ও নান্দাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য বরাদ্দ ছিল। প্রকল্পের লাইন ডিরেক্টর ডা. নূর মোহাম্মদের গত ১৬ মে স্বাক্ষরিত চিঠি সূত্রে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি টয়লেটকে প্রতিবন্ধিবান্ধব হিসেবে তৈরি বা সংস্কারের জন্য ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ওই চিঠির সঙ্গে প্রকল্পের (টয়লেটের) একটি নকশাও দেয়া হয়। কাজ শেষে কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পাঠিয়ে ব্যয়িত অর্থ পরিশোধের জন্য চিঠি পাঠাতে বলা হয়।

উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানায়, টয়লেট নির্মাণ সংক্রান্ত কোন বিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে পাঠানো হয়নি। কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে কর্তৃত্বের বিরোধের কারণে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়নি। ফলে বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত গেছে।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ক্যাশিয়ার আলমগীর বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে সময় পাওয়া যায়নি। তাছাড়া প্রকল্পটি তদবির করে এনেছেন বলে দাবি করছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) আব্দুর রাশিদ। তাঁর হাতেই বরাদ্দের চিঠিটি ছিল। তিনি কেন সময়মতো হিসাব রক্ষণ অফিসে বিল দাখিল করেননি, তা আমার জানা নেই। অন্যদিকে আব্দুর রাশিদ বলেন, আমি বরাদ্দের চিঠি পেয়ে তাৎক্ষনিক ক্যাশিয়ারের কাছে হস্তান্তর করেছি। তিনি কেন টাকা উত্তোলন করেননি, তা তিনিই ভালো বলতে পারবেন।

এ ব্যাপারে নান্দাইল স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কাজী এনামুল হক বলেন, বিষয়টি নিয়ে কিছু না বলাই ভালো। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা আর কিছু বলতে রাজী হননি। এদিকে বেতাগৈর ইউনিয়নের শিবপুর কমিউনিটি ক্লিনিক এ কর্মরত সিএইচসিপি আল মোত্তাদির গত ১৬.১২.১৮ হতে ০১.০৪.১৯ ইং তারিখ পর্যন্ত অনুপস্থিত থেকে হঠাৎ ০৪.০৪.১৯ ইং তারিখে যোগদান করে ১২.০৫.১৯ ইং পর্যন্ত অগ্রীম হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে চলে যান। এ রিপোট পাঠানো পর্যন্ত (১৬.০৭.১৯) উক্ত সিএইচসিপি আর কর্মস্থলে যোগদান করেননি। এ ব্যাপারে উক্ত সিএইচসিপি আল মোক্তাদিরকে তার মোবাইল ফোনে জ্ঞিজাসা করলে তিনি মায়ের অসুস্থতার কথা বলে বলেন, আমি অনুপস্থিত থাকার কারনে ৮ মাস ধরে বেতন বন্ধ রয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকে সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বারবার মাসিক সভা ডেকে তাকে শোকজ করা হলেও সে তার দায়িত্ব পালনে অবহেলা দেখাচ্ছে। বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগসহ সভার কার্যবিবরনী পাঠানো হয়েছে। জনগনের সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে উক্ত সিএইচসিপি’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ