বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খানা খন্দকের সৃষ্টি হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই অংশে। এসব খানা খন্দক সংস্কারে দেয়া ইটের টুকরা উঠে ছড়িয়ে আছে মহাসড়কের মাঝখানে। দুর্ঘটনা ও ক্ষতি এড়াতে গতি কমিয়ে সাবধানে চলাচল করতে হয়। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) বলছে, ভারি বৃষ্টিপাত ও ওভারলোডের কারণে মহাসড়কটির এ অবস্থা হয়েছে।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়কপথ হিসেবে বিবেচিত। এর মধ্যে বড়দারোগার হাট থেকে ধুমঘাট ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার অংশ মীরসরাইয়ে অবস্থিত। ২০০৯ সালে এ মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হয় যা শেষ হয় ২০১৫ সালে। তবে এক বছর না যেতেই মহাসড়কটিতে গর্ত তৈরি হতে শুরু করে।
স্থানীয়রা জানান, মহাসড়কের মীরসরাই অংশ এখন ছোট-বড় গর্তে ভরে গেছে। কয়েক দিন ধরে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে এসব গর্ত আরো বড় হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিংয়ের পাশাপাশি ভেতরের ইট-বালি বেরিয়ে এসেছে। গত মঙ্গলবার সওজের কর্মীরা সৃষ্টি হওয়া গর্ত ইট-বালি দিয়ে ভরাট করে দেন। কিন্তু এর একদিন না যেতেই গাড়ির চাকার সঙ্গে লেগে ইট-বালি উঠে যেতে শুরু করেছে। কোথাও কোথাও ইটের টুকরা ছড়িয়ে আছে মহাসড়কের মাঝখানে। ফলে মহাসড়কের এ অংশে যানবাহনকে ধীরগতিতে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে পথ পাড়ি দিতে স্বাভাবিকের চেয়ে সময় বেশি লাগছে।
সরেজমিন দেখা যায়, মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে মহাসড়ক দেবে গিয়ে পানি জমে আছে। বারইয়ারহাট, সোনাপাহাড়, মিঠাছড়া, বাদামতলী, মীরসরাই সদর, বড়তাকিয়া, নয়দুয়ারী, নিজামপুর ও বড়দারোগারহাট এলাকায় সড়কের অবস্থা সবচেয়ে নাজুক।
চট্টগ্রামগামী কাভার্ড ভ্যানের চালক আনোয়ার হোসেন জানান, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী পুরো সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে গাড়ির যন্ত্রাংশের ক্ষতি হচ্ছে। স্বাভাবিক গতিতে গাড়ি চালানো যাচ্ছে না। ফলে ৪ ঘণ্টার পথ অতিক্রম করতে সময় লাগছে ৬-৭ ঘণ্টা।
চালক নূর আলম বলেন, সড়কে উঠে আসা ইট-পাথরের কারণে ছোট-বড় সব গাড়ির চাকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক সময় চাকা ফেটে যাচ্ছে। অসাবধানতাবশত কয়েকটি গাড়ির চাকাও ফেটে গিয়েছিল।
চাকরিজীবী সাহাব উদ্দিন জানান, বৃষ্টির কারণে মহাসড়কে গর্তে পানি জমছে। চালকরা এসব গর্তের ওপর দিয়ে অনেক সময় দ্রæতগতিতে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যান। তখন ময়লা পানি ছিটকে এসে পথচারীদের গায়ে পড়ছে।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার আহমেদ বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে সড়কে গর্তের সৃষ্টি হতে পারে। এটি কোনো বিষয় নয়। ভারী যানবাহন ও ওভারলোড সড়ক নষ্ট হওয়ার আরেকটি কারণ। তবে ভোগান্তি কমাতে প্রতিদিনই সড়ক সংস্কার করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।