বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অবশেষে বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনে ফিরে এসছে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা। কমেছে যাত্রী হয়রানি। লোকবল সঙ্কটের কারণে কাজে ধীরগতি থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে পাসপোর্ট যাত্রীরা। ইমিগ্রেশনে স্বচ্ছতা ও বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়ে যার পাসপোর্ট তার হাতে থাকবে এমন উদ্যোগে গোটা চেকপোস্টে ফিরে এসেছে শৃঙ্খলা।
গত শুক্রবার সকাল ৮ টা থেকে বেনাপোল চেকপোস্টে এলাকায় দেখা যায় কয়েক হাজার পাসপোর্টযাত্রীদের দীর্ঘ লাইন। কেউ ব্যাংকে লাইন দিয়ে ভ্রমন ট্র্যাক্স নিচ্ছে আবার কেউ ইমিগ্রেশনে প্রবেশ’র দাঁড়িয়ে আছে লম্বা লাইনে। ছোট ছেলে মেয়ে ও রোগীদের নিয়ে বিপাকে পড়েছে অভিভাবকরা। সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হয়েছে পাসপোর্ট যাত্রীরা। যাত্রীদের বিশ্রাম ও রৌদ বৃষ্টি থেকে রেহাই পেতে চেকপোস্টে আছে একটি আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল। সেখানে প্রবেশ করতে নেওয়া হচ্ছে প্রতিটি যাত্রীর নিকট থেকে টার্মিনাল ফি বাবদ ৪৫ টাকা। অথচ রিসিট দেওয়া হচ্ছে ৪১.৭৫ টাকা।
স্থানীয়রা জানান, এর আগে মাঝে মধ্যে বেনাপোল চেকপোস্টে পাসপোর্ট যাত্রীদের দীর্ঘসারি হয়েছে কয়েক বার। কিন্তু স¤প্রতি একটানা এ ধরনের লাইন হওয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছে যাত্রীরা। তারা বলেন, ঢাকাসহ দেশের দুর দুরান্ত থেকে পরিবহনে আসা যাত্রীরা বেশী ভোগান্তিতে পড়েছে। কারন সারারাত জেগে থেকে সকালে বেনাপোল এসে ভ্রমন ট্র্যাক্স ও ইমিগ্রেশন কাস্টমস এর আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে সময় লাগছে কয়েক ঘণ্টা।
খুলনা থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রী নিলীমা শীল অভিযোগ করে বলেন, বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাচেঞ্জার টার্মিনালের ট্যাক্স ৪৫ টাকা দিলেও তারা টার্মিনালে প্রবেশ করতে পারেনি। এধরনের অভিযোগ আরো একাধিক যাত্রীর।
আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে অর্থ দিয়ে কিছু যাত্রী ভিতরে প্রবেশ করেছে এরকম প্রশ্নে ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, আমরাও বিষয়টি শুনেছি আজ প টার্মিনালের সামনে কিছু অনিয়ম হয়েছে। সেখানে দ্রæত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাতে কোন আনসার সদস্য যাত্রীদের নিকট থেকে অর্থের বিনিময়ে আগে প্রবেশ করাতে না পারে। ইমিগ্রেশন পুলিশ সার্বোক্ষনিক যাত্রীদের টার্মিনালের সামনে কাউকে টাকা দিয়ে যাতে ভিতরে প্রবেশ না করে তার জন্য সতর্ক করছে।
বেনাপোল পুলিশ ইমিগ্রেশন ওসি তদন্ত মাসুম বিল্লাহ বলেন, সঠিক ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ইমিগেগ্রশনে কাজ চলছে। কোন প্রকার অনিয়ম হচ্ছে না। যার পাসপোর্ট সে হাতে নিয়ে কাজ করছে ইমিগ্রেশনে।
অপর একটি সূত্র দাবি করে বলেন, ইমিগ্রেশনের জনবলও সঙ্কট। এখানে ২৪ জন এসআই থাকার কথা থাকলেও সেখানে আছে ১৮ জন, এবং ৯ জন এ এএসআই এর জায়গায় আছে মাত্র ৩ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।