Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় শিল্পনগরী

মো. হেদায়েত উল্লাহ, টঙ্গী থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৫ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

মাত্র কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতেই পানিতে তলিয়ে যায় শিল্পনগরী টঙ্গীর অধিকাংশ রাস্তাঘাট। ফলে সারাদিন কর্মব্যাস্ত মানুষদের সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে শিল্প কল কারখানাসহ অফিস আদালতে কর্মরত মানুষ ও স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা হাটুপানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হয়।

গতকাল রোববার ভোর রাতের বৃষ্টিতে টঙ্গীর সুরতরঙ্গ রোড, কলেজ রোড, সফিউদ্দিন রোড, মোক্তার বাড়ি রোড, মোল্লাবাড়ি রোড, হোসেন মার্কেট লেদুমোল্লা রোড, বারেকের গলি, ওসমান গনি রোড, দত্তপাড়ার হিমার দিঘি রোড, এরশাদ নগর বড় বাজার, স্টেশন রোড টঙ্গী সরকারি হাসপাতাল ও পূর্ব থানার সম্মুখ সড়ক, বিসিক শিল্প এলাকা, আরিচপুর , জামাই বাজার, বউ বাজার, গাজীবাড়ি, মাছিমপুর ও টঙ্গী বাজার এলাকার সড়কগুলো কোমর পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে যায়।

স্থানীয় লোকজন বলেন, গত ১০ বছরে টঙ্গী শিল্প এলাকায় যে হারে জনবসতি বৃদ্ধি পেয়েছে সে তুলনায় ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়নি। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই এলাকার রাস্তাঘাট ও অপেক্ষাকৃত নিচু বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। যে ড্রেনগুলো আছে তাও অপ্রশস্ত ও অগভীর হওয়ায় এবং ময়লা আবর্জনায় ভরে থাকায় দিনের পর দিন বৃষ্টির পানি সড়কে জমে থাকছে।

বৃষ্টির পানির সঙ্গে কলকারখানার বর্জ্যমিশ্রিত পানি, পয়োনালা ও নর্দমার পানি মিশে একাকার হয়ে পরিস্থিতি বর্ণনাতীত খারাপ হয়ে যায়। দুর্গন্ধযুক্ত এসব ময়লা পানি মাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে যাতায়াত করতে হয়। ভুক্তভোগীরা বলছেন, বিআরটি প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের সাথে সংযুক্ত টঙ্গীর কিছু সড়কের আংশিক উন্নয়ন করা হলেও তার আশপাশের সংযোগ সড়কগুলো বর্তমানে চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। বিগত ১০-১৫ বছরের মধ্যে এসকল সড়ক ও ড্রেনের কোন সংস্কার কাজ করা হয়নি।

টঙ্গীর আউচপাড়ার বাসিন্দা বুলবুল হাসান বলেন, ৫৪ নং ওয়ার্ডের রাস্তাঘাটের যে অবস্থা তার চেয়ে আমার গ্রামের রাস্তাঘাট অনেক ভালো। বিআরটি প্রকল্পের সুবাধে প্রধান সংযোগ সড়কের কিছু অংশের উন্নয়ন করা হলেও ভেতরের রাস্তাগুলো যেভাবে নালানর্দমায় পরিণত হয়েছে তাতে মনে হয়না আমরা রাজধানীর অতি নিকটবর্তী একটি সিটি কর্পোরেশনের বাসিন্দা।

মাছিমপুর এলাকার জুট ব্যবসায়ী হায়দর আলী বলেন, টানা বৃষ্টি হলে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে যাওয়ার কোনো উপায় থাকে না। হাসপাতালের ভেতরে-বাইরে পানি জমে যায়। এ অবস্থা গত ৮-৯ বছর ধরে দেখে আসছি অথচ এই নিয়ে যেন কারো মাথা ব্যথা নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ