Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ছেলেধরা সন্দেহে এক নারীকে গণপিটুনি

সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

সিরাজদিখান উপজেলায় ছেলেধরা আতঙ্ক। শিশু কন্যা অপহরণ সন্দেহে এক মহিলাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার বিকালে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের বড়ইহাজী গ্রামে। আহত মহিলা হালিমা বেগম (২৮) পুলিশ হেফাজতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। হালিমা বেগম মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার কালীখোলা গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী ও একই থানার নয়াগাঁও গ্রামের মৃত শাহ মোল্লার মেয়ে। হালিমা বেগমের বিরুদ্ধে শিশু কন্যা সুয়াইবা(০১) অপহরনে সিরাজদিখান থানায় অভিযোগ করেন মা ঝুমা আক্তার(২৫)।

সুয়াইবার মা ঝুমা আক্তার জানান, তারা বর্তমানে বড়ইহাজী মিল্লাত মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন। শনিবার বিকালে ২ জন মহিলা এসে পানি খেতে চায়। সে পানি দেয় পরে খালি গøাস ঘরে রেখে এসে দেখেন উঠানে খেলারত সুয়াইবা ও মহিলারা নেই। মেয়েকে না দেখে চিৎকার করলে লোক জন আসে এবং মেয়েকে খুজতে থাকে । খোঁজার সময় দেখি এক মহিলা আমার মেয়েকে কোলে নিয়া নিম তলার দিকে চলে যাচ্ছে। আমি চিৎকার দিয়ে তার কোল থেকে আমার মেয়েকে নিয়ে আসি। উপস্থিত লোকজন মহিলাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে খবর দেয়। এরপর গতকাল ববিবার থানায় গিয়ে আমি লিখিত অভিযোগ করি।

আটক হালিমা বেগমের ছোট ভাই শরীফ জানান, তার বোন মানষিক রোগী। গত রমজান মাসে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। খোঁজাখুজি করে পাননি। আজ খবর পেয়ে হাসপাতালে এসেছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বদিউজ্জামান জানান, পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে আছে। এখনো ভালভাবে কথা বলছে না। আরেকটু সুস্থ্য হলে বুঝা যাবে।

সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফরিদ উদ্দিন জানান,স্থানিয়রা পুলিশকে খবর দিলে রাস্তায় এসে বাচ্চাসহ একজনকে আটক করে । সে নাকি বলেছিল বাচ্চা পছন্দ হয়েছে তাই নিয়ে এসেছে। ধরা পরলেই মানসিক রোগী বলে, তার সাথে আরো কেউ আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কোনটা সঠিক এখন বলা যাচ্ছে না। তদন্ত শেষে বলা যাবে। অভিযোগ অনুযায়ী মামলা প্রক্রিয়াধীন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ