Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অপহরণকারী চক্র থেকে বেঁচে গেল মাদরাসা ছাত্রী

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

নিজের উপস্থিত বুদ্ধিতে অপহরণকারিকে ধাক্কা দিয়ে মাইক্রো থেকে লাফিয়ে প্রাণে বাঁচল অপহৃত কিশোরী তাসলিমা আক্তার (১৩)। শনিবার ভোর ৬ টায় কুমিল্লার লালমাইয়ের পেরুল থেকে অপহরণের পর পৌনে ৭টায় জামতলীতে সে লাফিয়ে পালায়। তাসলিমা উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের কাঁকসার মোল্লাবাড়ির কালামের কন্যা। সে একই উপজেলার পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়নের পেরুল চৌকিদার বাড়িতে (নানাবাড়ি) থেকে ফয়েজগঞ্জ সিনিয়র মাদরাসায় ৭ম শ্রেণিতে অধ্যায়ন করছে।

জানা যায়, শনিবার ভোর ৬ টায় নানাবাড়ি থেকে বের হয়ে কুমিল্লা-নোয়াখালী সড়ক সংলগ্ন খলিলপুর-পেরুল বাইতুন নূর জামে মসজিদ মক্তবে যাওয়ার সময় কিশোরী তাসলিমাকে বোরকা পরিহিত এক মহিলা মুখে রুমাল দিয়ে চেপে ধরে অজ্ঞান করে কালো রংয়ের মাইক্রোতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। অনমুান ৭টায় একই উপজেলার জামতলী এলাকায় পৌছলে মাইক্রো থামিয়ে অপহরণকারিদের একজন সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিল। এ সুযোগে মহিলাকে ধাক্কা দিয়ে তাসলিমা মাইক্রো থেকে লাফিয়ে দৌড়ে পালায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাছলিমাকে পেরুল নানাবাড়ি পৌছে দেয়া হয়। খবর পেয়ে লালমাই থানার উপ-পরিদর্শক স্বরজিৎ কুমার দে ও আবদুর রহিম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাসলিমার বাড়ি যায় এবং তাসলিমার কাছ থেকে অপহরণের বর্ণনা শুনেন। তবে এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি।

তাসলিমা আক্তার সাংবাদিকদের জানায়, মক্তবে যাওয়ার জন্য নানাবাড়ি থেকে বের হলে এক মহিলা তাকে জিজ্ঞেস করে, এটা কোন বাড়ি ? কেউ ভিক্ষা দেবে ? একটু সামনে এগুতেই মহিলা রুমাল দিয়ে আমার মুখ চেপে ধরে মাইক্রোতে উঠায়। জামতলিতে মাইক্রো দাঁড়ালে আমি মহিলাকে ধাক্কা দিয়ে নেমে পালিয়ে যাই। চালক ছাড়াও গাড়িতে মুখোশ পরা দুজন পুরুষ ও একজন মহিলা ছিল। তাছাড়া অপহৃত আরো দু’জন শিশু কান্না করছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ