Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধনাগোদার ভাঙনে অর্ধশতাধিক পরিবার

মাহবুব আলম লাভলু, মতলব উত্তর (চাঁদপুর) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৩ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ধনাগোদা নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে ১০নং ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের সিপাইকান্দি ও ঠেটালীয়া গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবার। বিগত দিনে ধনাগোদা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে সিপাইকান্দি ও ঠেটালীয়া গ্রামের প্রায় ১৫০ টি পরিবার। বসতভিটা হারিয়ে নদীর ওপার ও বেড়ি বাঁধের ভেতরে, বেড়ি বাঁধের পাশে বসবাস করছে। বর্তমানে বেড়ি বাঁধের বাইরে নদীর তীরবর্তী এলাকায় প্রায় ১০০ পরিবার বসবাস করছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ধনাগোদা নদীর ভাঙনের কবলে আছে সিপাইকান্দি গ্রামের আলী আকবর মিজি, মহসিন মিজি, মানিক মিজি, স্বপন মিজি, আনোয়ার হোসেন মিজি, নুরু মিজি, অলু মিজি, মরহুম চাঁদ মিয়া মেম্বারের বাড়ির ১০টি পরিবার, মরহুম আশ্রাব আলী প্রধান বাড়ির ১০টি পরিবার এবং ঠেটালীয়া গ্রামের ৫০টি পরিবার নদী ভাঙনের হুমকির মুখে আছে। দুটি গ্রামের পাশে রয়েছ মেঘনা ধনাগোদা সেচপ্রকল্পের বেড়িবাঁধ। খ্বু দ্রæত ভাঙনের কবল থেকে গ্রাম দুটিকে রক্ষা করতে না পারলে সেচপ্রকল্পের বেড়ি বাঁধটি হুমকির মুখে পড়বে।

এ এলাকা নদী ভাঙনের কবলে পড়লে প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা পরিদর্শন পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে বলেন। পানি উন্নয়ন বোডের্র কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে পরিদর্শন করলেও কোন পদক্ষেপ নেননি।

ইউপি সদস্য সাংবাদিক গোলাম নবী খোকন জানান, কয়েক বছর ধরেই এলাকা নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে। বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় অনেক পরিবার অন্য জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

গত ১৫ জুন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম ও অ্যাডভোকেট আলহাজ নূরুল আমিন রুহুল এমপি এ নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভাঙনরোধে দ্রæত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।

মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, নদী ভাঙনরোধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ