Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

স্থবির আমদানি-রফতানি পণ্য পরিবহন

চট্টগ্রাম বন্দর ঘিরে সড়কে টানা যানজট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরে আশপাশের সড়কগুলোতে টানা যানজটের ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে আমদানি-রফতানি পণ্য পরিবহন। এতে করে শিল্প কারখানায় কাঁচামালের সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। অন্যদিকে তৈরি পোশাকসহ রফতানি পণ্য জাহাজিকরণ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে বহির্নোঙ্গনে মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাস ও লাইটারেজ জাহাজযোগে পণ্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে বন্দর জেটিতেও স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এ অবস্থায় অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য ও জাহাজ জটের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
টানা বর্ষণ সেইসাথে জোয়ারের কারণে গত দুইদিন ধরে বিমানবন্দর সড়ক, পোর্ট কানেকটিং রোড এবং টোল রোডে তীব্র যানজট অব্যাহত আছে। যানজটের কারণে পতেঙ্গা এলাকায় গড়েওঠা বেসরকারি টার্মিনালগুলো থেকে আমদানি-রফতানি পণ্যবাহী ভারী যানবাহন বন্দরে আসতে পারছে না। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা রফতানি পণ্যবাহী ভারী যানবাহনগুলোও এসব টার্মিনাল এবং বন্দরে ঢুকতে পারছে না। চট্টগ্রাম ইপিজেড ও কর্ণফুলী ইপিজেডে উৎপাদিত রফতানি পণ্য পরিবহনেও অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে দুটি ইপিজেডে পানি উঠে যায়। এসব ইপিজেডে উৎপাদিত পণ্য সরিয়ে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন কারখানা মালিকেরা। তবে যানজটের কারণে পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে।
বন্দরকে ঘিরে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সড়কে ৩৬ ঘণ্টার বেশি সময় তীব্র যানজট অব্যাহত আছে। নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের (বন্দর) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার তারেক আহমেদ বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের জন্য সড়কে পাইলিংয়ের কাজ চলছে। অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়ির কারণে বিমানবন্দর সড়কটি এখন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। আশপাশের সড়কগুলোর অবস্থাও একই রকম। পোর্ট কানেকটিং রোডেও সংস্কার কাজ চলছে। একদিকে ভারী যানবাহনের চাপ অন্যদিকে গর্তে আটকা পড়ে যানবাহন বিকল হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবারও অন্তত পাঁচটি লরি সড়কে বিকল হয় জানিয়ে তিনি বলেন, যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করতে ট্রাফিক বিভাগে পুরো জনবল নিয়োগ করা হলেও পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়বে জানিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জাতীয় অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ