বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুতবিচার) (সংশোধন) বিল-২০১৯’ পাসের সুপারিশ করে সংসদে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। গতকাল কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু দ্রুত বিচার আইনের প্রতিবেদন জমা দেন।
চলতি অধিবেশনেই বিলটি পাস হওয়ার কথা রয়েছে। বিলে আইনটির মেয়াদ ৫ বছর বাড়িয়ে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর আগে প্রয়োজনীয়তার নিরিখে ছয়বারে এর মেয়াদ ১৫ বছর বাড়ানো হয়।
বহুল আলোচিত দ্রুতবিচার আইনের মেয়াদ আরেক দফা বাড়াতে গত ২৫ জুন সংসদে বিল উত্থাপন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, অপরাধ প্রমাণিত হলে দুই থেকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ড হতে পারে। এ আইনে ১২০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ নিষ্পত্তি করার বিধান আছে। এই সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা না গেলে আরো ৬০ দিন সময় পাওয়া যাবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে দ্রুত ও কার্যকর ভ‚মিকা পালনের উদ্দেশ্যে চাঁদাবাজি, যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, যানবাহনের ক্ষতিসাধন, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বিনষ্ট করা, ছিনতাই, দস্যুতা, ত্রাস ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, দরপত্র ক্রয়, বিক্রয়, গ্রহণ বা দাখিলে জোরপ‚র্বক বাধা প্রদান বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ভয়-ভীতি প্রদর্শন ইত্যাদি গুরুতর অপরাধের দ্রুতবিচার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অধিকতর উন্নতির লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুতবিচার) আইন-২০০২ জারি করা হয়েছিল। আইনটি করার সময় প্রথমে মেয়াদ দুই বছর করা হয়েছিল। পরে প্রয়োজনীয়তার নিরিখে ছয়বারে এর মেয়াদ ১৫ বছর বাড়ানো হয়। এই আইনটির অধীনে তদন্তাধীন ও বিচারধীন এক হাজার ৭০৩টি মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আইনটির মেয়াদ বাড়ানো প্রয়োজন।
বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০২ সালে দ্রুতবিচার আইন পাসের পর তা দুই বছরের জন্য কার্যকর করা হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে আইনটির মেয়াদ দুই বছর করে বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০১৪ সালে পাঁচ বছর আইনটি বহাল রাখতে সংশোধনী বিল পাস করা হয়। গত ৯ এপ্রিল আইনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এরপর সরকার আইনটির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।