রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ফরিদপুর সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসের সাবেক ডিজিএম নিরেন্দ্রনাথ দাসের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ফরিদপুর ও রাজবাড়ী শাখায় চাকরিকালীন সময়ে তিনি দুর্নীতির মাধ্যমে নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হন। নিরেন্দ্রনাথ দাসের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যাংকের কয়েক কর্মকর্তা ও গ্রাহক প্রধান কার্যালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভণর এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। নিরেন্দ্রনাথ সাহার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান কার্যালয়ের একটি সূত্র।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নিরেন্দ্রনাথ দাস ফরিদপুরে চাকরিকালীন সময়ে বদলী বাণিজ্য করে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। অভিযোগ রয়েছে, দুর্নীতির কারনে মধুখালী ব্রাঞ্চ থেকে জনৈক ইদ্রিস আলী ফকিরকে তিনবার অন্যত্র বদলী করা হলে নিরেন্দ্রনাথ টাকার বিনিময়ে পুনরায় মধুখালীতে তাকে পোস্টিং দেন। দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে এক ব্যক্তিকে এক মাসে তিন জায়গায় বদলীর নজিরও গড়েন নিরেন্দ্রনাথ। যা ব্যাংকের আইনের পরিপন্থী। একটি অটোরাইস মিলের ঋনের ফাইলটি অসঙ্গগতি থাকায় পূবের ডিজিএম ফেরত পাঠালেও নিরেন্দ্রনাথ সেই রাইস মিলটিকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ৫ কোটি টাকার ঋন পাইয়ে দেন। বর্তমানে রাইস মিলটি সচল নেই। কৃষি ঋনের বিষয়ে তার বিরুদ্ধে রয়েছে কয়েক শ’ অভিযোগ। ঋণ দেবার নাম করে ঋন গ্রহিতাদের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়েছেন। তাছাড়া ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে কয়েক শ’ ব্যক্তিকে অবৈধ উপায়ে ঋন দিয়েছেন। যেটি তদন্ত করছে সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়। ব্যাংকের গাড়িটি তিনি তার ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে ব্যাংকের আর্থিক ক্ষতি করেছেন। গাড়ি মেরামত বাবদ তিনি প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে বিশেষ নিরিক্ষা দল কর্তৃক তদন্ত রিপোর্টে নিরেন্দ্রনাথ দাসের সময়ে মধুখালী শাখার অকৃষকদের ৩ লাখ ১৬ হাজার টাকা, ভুয়া পরচা দিয়ে ৬৪ জনকে ২৫ লাখ ৩৮ হাজার, একই পরিবারে এমন ৭ জনকে ডাবল ঋন দেয়া হয়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা। অনিয়মিত মোট ঋণ ৭৯টি, যার টাকার পরিমান ৩১ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। যা তিনি আর্থিক সুবিধা নিয়ে এসব ঋন বিতরণ করেছেন।
এ বিষয়ে ব্যাংকের তদন্ত কমিটি তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি এন্ড কাস্টমার সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট ১১টি শাখা কৃষি ঋনের অনিয়মের অভিযোগটি যাচাই পূর্বক তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বলা হলেও তার কোন পদক্ষেপ নেয়নি নিরেন্দ্রনাথ।
এ বিষয়ে নিরেন্দ্রনাথ দাস বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটি পক্ষ মিথ্যা প্রচারনায় নেমেছে। আমার বিরুদ্ধে দুদকসহ বিভিন্ন স্থানে যেসব অভিযোগ দেয়া হয়েছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। সোনালী ব্যাংক ফরিদপুর জেনারেল ম্যানেজারের কার্যালয়ের জিএম আবদুল আজিজ জানান, নিরেন্দ্রনাথ দাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানেন না বলে জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।