রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই রাজবাড়ী জেলা সদরের সুলতানপুর ইউনিয়নের শাইলকাঠি এলাকায় তিন ফসলী কৃষি জমিতে ইটভাটা নির্মাণ চলছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে গতকাল সুলতানপুর ইউনিয়নের শাইলকাঠি এলাকায় দেখা যায়, কোন প্রকার নিয়ম না মেনেই ফসলী জমিতে পুরোদমে চলছে ইটভাটা তৈরির কাজ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, জিয়াউর রহমানসহ স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি নামমাত্র জমি কিনে ব্যক্তি মালিকানাধীন পাশবর্তী জমির মালিকদের প্রভাবিত করে কৌশলে লীজ নিয়ে এ ইটভাটার নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রস্তাবিত ওই ভাটার চারপাশে আবাদী জমির উর্বরতা নষ্ট হওয়ার শংকায় এলাকার কৃষকরা বিভিন্ন স্থানে ধর্ণা দিচ্ছেন।
ভাটার মূল উদ্যোক্তা জিয়াউর রহমানের দাবি তাদের নিজেদের মালিকানায় ২.০১ একর জমি রয়েছে। আরও ৬ একর জমি তারা স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে লীজ নিয়েছে। প্রস্তাবিত এই ‘কেআরডি’ ব্রিক ফিল্ড-এর মালিকানায় রয়েছে তার ভাই মেজো সেখ, ইউনিয়ন আ. লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আরজু শাজাহান, ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর বাবলু বিশ্বাস, অব. পুলিশ কর্মকর্তা খালিদ মুন্সী, আবু সাইদ মোল্লা ও আবুল সেখ।
ইটভাটার মালিকগণ জানান, ভাটা স্থাপনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। তবে এখনও ছাড়পত্র পাওয়া যায়নি। বর্তমানে প্রস্তুতি চলছে। অনুমোদন পেলেই উৎপাদন শুরু করবো।
ভাটার সবচেয়ে নিকটতম বাসিন্দা আতিয়ার বেপারী জানান, এখানে ভাটা নির্মিত হলে এলাকার পরিবেশ চরমভাবে বিঘিœত হবে এবং মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে।
এলাকার অপর বাসিন্দা স্বপন বেপারির অভিযোগ, তিনি নিজের ৩ পাখি এবং অন্যদের আড়াই পাখি জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষ করে। ভাটার উদ্যোক্তারা তাকে জমিগুলো তাদের কাছে লিজ দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে।
এলাকার দরিদ্র ভ্যানচালক ইবরাহীম জানান, তার ৫/৬ পাখি জমি রয়েছে। এগুলো ভাটায় দেয়ার জন্য চাপাচাপি করা হচ্ছে। তিনি কোনভাবেই তার জমি ভাটার কাছে বিক্রি বা লীজ দিতে নারাজ।
পরিবেশবিদ মো. আলাউদ্দিন জানান, বসতবাড়ি, জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা বা স্কুলের ১ কি.মি. এলাকার মধ্যে কিংবা ফসলী জমিতে ইটভাটা স্থাপন না করার জন্য আইনগত নির্দেশনা রয়েছে। পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে এগুলো অনুসরণ করা প্রয়োজন।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. বাহাউদ্দিন জানান, প্রস্তাবিত ওই ইটভাটার জমিতে ভাটা না করার জন্য স্থানীয় কৃষকরা আমার কাছে আবেদন করেছিল। তবে কৃষি বিভাগ থেকে কোন অনাপত্তি পত্র দেয়া হয়নি।
রাজবাড়ী কালেক্টরেটের নাজির সুশান্ত কুমার জানান, কেআরডি ব্রিক্স নামে কোন আবেদন পত্র এখনও জমা পড়েনি। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পেলেই কেবলমাত্র উদ্যোক্তারা আবেদন করতে পারবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।