Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিরাজদিখানে সাপ ও কুকুরের ভ্যাকসিন নেই

সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) থেকে ইসমাইল খন্দকার | প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

প্রচন্ড গরম ও বর্ষার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সিরাজদিখান উপজেলা জুড়ে সাপের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে কুকুরের প্রজনন মৌসুম আসতে না আসতেই বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রবও বৃদ্ধি পেয়েছে। কুকুরের কামড়ের শিকারও হচ্ছেন অনেকে। কুকুরের কামড় ও সাপের দংশনের শিকার ব্যক্তিদের বাঁচাতে প্রয়োজন হয় ভ্যাকসিন। অথচ সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জীবন রক্ষাকারী এই ভ্যাকসিন নেই। এতে হতাশায় পড়েছেন উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনসাধারণ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন না থাকায় ভুক্তভোগীদের ছুটে যেতে হচ্ছে রাজধানীতে। এতে করে অনেকেই মারা যাচ্ছেন হাসপাতালে নেওয়ার পথিমধ্যে। সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কুকুর ও সাপের ভ্যাকসিন না থাকার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কোন চিকিৎসক নেই বলেও নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়।

উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের তেগুরিয়া গ্রামের এস এ মাসুম বলেন, সম্প্রতি গ্রামে নানা বাড়িতে বেড়াতে আসলে একটি শিশু সাপের দংশনের শিকার হন। পরে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন না থাকায় শিশুটি বাঁচানো যায়নি। এমনকি কোন ফার্মেসিতেও ভ্যাকসিন কিনতে পাওয়া যায়নি। এতে করে গ্রামটিতে এখন সাপের আতংকে জনসাধারণ।

লতব্দী গ্রামের নারায়েন গোষ বলেন, সাপের ভয়ে জমিতে গরুর ঘাস কাটতে যাচ্ছেন না অনেকে। ভয় লাগে। অতীতের তুলনা চলতি বছর সাপের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। সাবেক কারিতাস কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, বর্ষার পানি ও গরমের কারনে সাপের আনাগোনা বেড়েছে। এখন সাপ আতংকে আছি। বাজারে যে সাপের এসিড পাওয়া যায় তা খুব একটা ভাল না। এ বিষয় সরকারিভাবে আমাদের সাপের এসিট (কার্বালিক) দেওয়া হলে সাপের উপদ্রব থেকে কিছুটা বাঁচা যেতে পারে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বদিউজ্জামান বলেন, সাপের ভ্যাকসিন এ উপজেলায় পাওয়া যায় না। উপজেলা পর্যায়ে সাপ্লাই দিতে পারেনি। জেলা পর্যায়ে আমি কথা বলছি। জেলা পর্যায়ে এ ভ্যাকসিন থাকলেও উপজেলা পর্যায়ে এ ভ্যাকসিন নেই। আবার সাপের ভ্যাকসিন দেয়ার মত প্রশিক্ষিত কর্মি বা প্রশিক্ষিত ডাক্তার আমাদের এখানে নেই। আর যদিও বা সাপের ভ্যাকসিন দেয়া হয়। এতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আইসিওতে রাখতে হয়। আমাদের এখানে আইসিও নেই তাই রোগীদের ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। তিনি আরো বলেন, কুকুরের ভ্যাকসিন সরকারিভাবে আমাদের এখানে নেই জেলা পর্যায়ে ও মহাখালীতে আছে। তবে কুকুরের ভ্যাকসিনগুলো আমরা দিতে পারি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ