রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পাহাড় ধসের আশংকায় বালুটিলা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়টি চরম ঝুঁকিতে। কিন্তু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটিকে আমলেই নিচ্ছে না রহস্যজনক কারণে! অন্যদিকে বিদ্যালয় কমিটির বিরুদ্ধেই পাহাড় কাটার অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছে নির্বিকারে।
জানা যায়, ১৯৮৪ সনে এলাকার সচেতন নাগরিকদের উদ্যোগে ফটিকছড়ির দাতমারা ইউনিয়নের বালুটিলা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এলাকায় শিক্ষার আলো প্রসারিত করে চলেছে। এমপিওভূক্ত এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার ক্রমাগত উন্নতির কথা থাকলেও এখন তা নিম্নমূখীতায় নিপাতিত হচ্ছে। ফলাফল বিবরণী মতে- ২০১৭ সালে এসএসসি পাসের হার ছিল ৮৫.৯৬%, ২০১৮ সালে হয় ৬৩.৬৩% আর ২০১৯ সালে এসে দাড়িয়েছে ৭৩.৭৮%। সবচেয়ে আর্চায্যের ব্যাপার হচ্ছে- প্রতিষ্ঠার ৩৫ বছর ধরে ওই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির কোন নির্বাচনই হয়নি! সিলেকশনের মাধ্যমেই পরিচালনা কমিটি। সভাপতি একাধারে আট বছরই স্থানীয় ইউপি মেম্বার। অন্যরা কেউ সেখানে যেতেই পারে না। ফলে দায়বদ্ধতা বলতে কিছু নেই ওখানে। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এ বিদ্যালয় যেন অভিভাবক হারা।
সরেজমিনে আরো দেখা গেছে, বালুটিলা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন আস্ত একটা পাহাড় কেটে ন্যাড়া করে দেয়া হয়েছে। ওই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধেই সে পাহাড় কর্তনের অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। তারা জানান, ট্রাক প্রতি ১২শ’ টাকা মূল্যে পাহাড় কাটা মাটি বিক্রি করে বিদ্যালয় সভাপতি এবং প্রধান শিক্ষক যোগসাজসে। এমনকি ওই টাকা বিদ্যালয় হিসাবেও জমা করা হয় না। পাহাড় কাটার অভিযোগটি দৃশ্যত: হলেও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মেম্বার পাহাড় কাটার বিষয়টি অস্বীকার করে চলেছেন। একইভাবে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মো. শাহজামাল মজুমদারও তা অস্বীকার করেন। তবে, দুজনই বলেছেন- কাটা পাহাড় ধসে মাটি নিচে পড়লে তা সরিয়ে দেয়া হয় বিভিন্ন দিকে এবং বিদ্যালয়-মাদরাসা মাঠে! কিন্তু এত বড় পাহাড়ের মাটি কোথায় গেল? এমন প্রশ্নের কোন সদোত্তর মেলেনি তাদের কাছে। যদিও বালুটিলা এলাকাই রামগড়-সীতাকুন্ড রিজার্ভ ফরেস্ট মৌজাভূক্ত সম্পত্তি। তবুও ওই কাটা পাহাড়কে তিন ব্যক্তির মালিকানাধীন বললেন প্রধান শিক্ষক এবং তারাই নাকি মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে! কাটা পাহাড়ের পেটে অবস্থিত বিদ্যালয়টি পাহাড় ধসের চরম ঝুঁকিতে থাকলেও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি তা আমলেই নিচ্ছে না রহস্যজনক কারণে। অথচ অভিভাকরা পাহাড় ধসের আশঙ্কায় উৎকণ্ঠিত হলেও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছেন- কিছুই হবে না তাতে! আর পরিবেশ অধিদপ্তর এখানে নেই বললেই চলে! তারা রয়েছে চরম নির্বিকারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।