পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বুড়িগঙ্গাকে পূর্ণরূপে ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা দিয়েছেন। তার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি। গত কয়েক মাসের নিরলস প্রচেষ্টায় নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। দখলমুক্ত করা হচ্ছে নদীর তীর। কেউ নদীর তীর পুনর্দখলের চেষ্টা করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।তিনি আজ শনিবার(০৬জুলাই)সকালে কামরাঙ্গীরচরস্থ খোলামোড়া ঘাটে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যা নদীর তীর পূনর্দখলরোধে নদীর তীরভূমিতে সীমানা পিলার স্থাপন, ওয়াকওয়ে, তীররক্ষা বাধ, ওয়াকওয়ে অনপাইল ইত্যাদি নির্মান কাজের উদ্বোধনকালে একথা বলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে বুড়িগঙ্গাকে দুষনমুক্ত করে মানুষের ব্যবহার উপযোগি করতে চাই। মানুষের জীবিকার জন্য নদী ব্যবহৃত হবে-আমরা সেরকম পরিবেশ গড়ে তুলব। তিনি বলেন, ঢাকার চারপাশের নদীগুলোকে দখল ও দুষনমুক্ত করতে সরকার কাজ করছে। এক্ষেত্রে কেউ হস্তেক্ষেপ করলে তার পরিনতি হবে ভয়াবহ। তিনি নদী রক্ষায় সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, রাষ্ট্র কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি বলে নদীগুলো বেদখল হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তৎকালীন সরকারগুলো শুধু নদী দখল করেনি, তারা আমাদের পরিচয়ও বেদখল করার চেষ্টা করেছে। নদী আমাদের ঠিকানা, সে ঠিকানাও পরিবর্তনের চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদী রক্ষায় সর্বাত্বক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নদী রক্ষায় এখন আর শুধু ঢাকার মানুষ নয়, সারাদেশের মানুষ এগিয়ে এসেছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য এ্যাড. কামরুল ইসলাম, সংসদ সদস্য হাজী মো: সেলিম, নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের সচিব মো: আবদুস সামাদ, বিশিষ্ট কলামিষ্ট ও পরিবেশবিদ সৈয়দ আবুল মকসুদ, বিআইডবিøউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলাম এবং প্রকল্প পরিচালক নুরুল আলম উপস্থিত ছিলেন। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নৌ সচিব আবদুস সামাদ প্রকল্পের দিক ও বিবরন তুলে ধরেন তিনি বলেন ,প্রথম পর্যায়ে ঢাকা নদী বন্দর এলাকায় ৩,৮০৩টি আরসিসি সীমানা পিলার, রামচন্দ্রপুর হতে বসিলা ও রায়েরবাজার খাল হতে কামরাঙ্গীরচর পর্যন্ত এক কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, এক কিলোমিটার কিওয়াল, দু’ দশমিক পাঁচ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে অন পাইল নির্মাণ/স্থাপন করা হবে। ৩,৮০৩টি আরসিসি সীমানা পিলারের মধ্যে ২,৩৪০টি সিঙ্গেল পাইলের এবং ১,৪৬৩ টি ডাবল পাইলের হবে। ৩,৮০৩টি আরসিসি সীমানা পিলার নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ৭০ কোটি টাকা। ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এগুলোর স্থাপনার কাজ শেষ হবে। রামচন্দ্রপুর হতে বসিলা ও রায়েরবাজার খাল হতে কামরাঙ্গীরচর পর্যন্ত এক কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, এক কিলোমিটার কিওয়াল এবং দু’ দশমিক পাঁচ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে অন পাইল নির্মাণ/স্থাপনে প্রায় ৫৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ২০২০ সালের জুনের মধ্যে এগুলোর স্থাপনার কাজ শেষ হবে।
বিআইডব্লিউটিএ প্রকল্পের আওতায় বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে সীমানা পিলার স্থাপন, ওয়াকওয়ে, কিওয়ালসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করবে। নদীর তীরভূমিতে ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ, নদীর তীরভূমিতে পাইলের ওপর ১২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, ১০,৮২০ টি সীমানা পিলার স্থাপন, তিনটি ইকোপার্ক নির্মাণ, দু’টি পর্যটন বান্ধব দৃষ্টিনন্দন পার্ক, ১৯টি আরসিসি জেটি, ১০০টি আরসিসি সিঁড়ি, ৪০ কিলোমিটার নদীর তীর রক্ষা (কিওয়াল) সহ আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ করা হবে। এজন্য প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৪৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। ২০১৮ সালের জুলাই হতে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।