পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের বিচার বিভাগ আওয়ামী লীগ সরকারের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এ কারণেই বিচার বিভাগ থেকে জনগণ ন্যায়বিচার পাচ্ছে না। সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অথচ বিচার বিভাগের ওপর আমাদের, সাধারণ জণগণের নির্ভর করার কথা। কিন্তু এই বিচার বিভাগের কাছে আমরা কোনও বিচার পাই না। এই বিচার বিভাগ সম্পূর্ণভাবে আওয়ামী লীগ সরকার নিয়ন্ত্রণ করছে। সরকার যা নির্দেশ দেয় আদালতও সেই বিচারই করে।
শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেলসহ সকল রাজবন্দিদের নিঃর্শত মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলার রায়ের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলার মামলায় যে বিচার হয়েছে কয়দিন আগে, এটা কখনও কোনও সভ্য সমাজে, আইনের শাসনের দেশে এই ধরনের ন্যাক্কারজনক রায় কখনও হতে পারে না। আমরা এই রায়ে হতাশ নই শুধু, বিক্ষুব্ধও। দেশে এখন ন্যায়বিচার থেকে সম্পূর্ণভাবে বঞ্চিত হচ্ছে জনগণ।
ক্ষমতাসীনরা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সারাদেশে আজকে তারা (ক্ষমতাসীন) একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা চরমভাবে ভেঙে পড়েছে। দিনে-দুপুরে মানুষকে কুপিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। কয়েকদিন আগে পত্রিকায় বেরিয়েছে প্রতি ঘণ্টায় ১২ জন লোক মারা যাচ্ছে, নিহত হচ্ছে। হয় সড়ক দুর্ঘটনায় অথবা হত্যা করার মধ্য দিয়ে। দেশে ধর্ষণ বেড়েছে, ডাকাতি বেড়েছে, লুটপাট বেড়েছে। মানুষের জীবনের এখন আর কোনো নিরাপত্তা নেই।
তিনি বলেন, আজকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই বললেই চলে। একেবারে শূণ্যের কোঠায় এসে গেছে। উন্নয়নের কথা বলা হচ্ছে। মেগা প্রজেক্ট, মেগা দুর্নীতি। আজকে পত্র-পত্রিকা খুলে দেখবেন, ব্যাংকগুলো থেকে কীভাবে টাকা চলে যাচ্ছে। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির একমাত্র কারণ হচ্ছে তারা এলএনজি আমদানি করতে চায়। এই এলএনজি আমদানি করে সেখানে যে ভর্তুকি দেবে, সেই টাকা জনগণের পকেট থেকে নিতে চায়। এ নিয়ে বাম দলগুলোর হরতালে সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এটা জনগণের দাবি, জনগণের দাবিকে অবশ্যই আমরা সবসময় সমর্থন করব।
খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটক রেখে এই সরকার এটা প্রমাণ করেছে তারা গণতন্ত্রকে আটক রাখতে চায়। কারণ দেশনেত্রী গণতন্ত্রের প্রতীক। যে নেত্রী তার রাজনৈতিক জীবনের পুরোটাই গণতন্ত্রের উন্নয়ন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাকে তারা অন্যায়ভাবে তাকে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। ঠিক একই ধরনের মামলা আপনাদের নেতা-নেত্রী, আপনাদের অনুসারী, তাদেরকে জামিন দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু আমাদের দেশনেত্রীকে আপনারা জামিন দিচ্ছেন না। এটা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি। আওয়ামী লীগ দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায় বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি একটা গণদাবি, সাধারণ মানুষের দাবি, দলমত নির্বিশেষে সবাই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চায় এবং গণতন্ত্রের মুক্তি চায়।
এজন্য সমস্ত রাজনীতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে সর্বোপরি সারা দেশে গণঐক্য গড়ে তুলে গণবিরোধী ও গণতন্ত্র বিনাশী সরকারের পতন নিশ্চিত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের ভাইদেরকে মুক্ত করতে হলে, দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে হলে, হাবিব উন নবী খান সোহেলকে মুক্ত করতে হলে অবশ্যই জনগণের ঐক্যের মধ্য দিয়ে গণঐক্য তৈরি করতে হবে। সমস্ত রাজনীতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে একটা গণজোয়ারের মধ্য দিয়ে গড়ে তোলা আন্দোলনেই এ সরকারকে পরাজিত করতে হবে।
মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতি শামসুল হুদা, নবী উল্লাহ নবী, মোশাররফ হোসেন খোকন, মীর হোসেন মীরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিব বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।