Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দৌলতপুরে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৭ এএম

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা দিতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। অনলাইনে যশোর বোর্ডের সার্ভারে সকাল সাড়ে ৮টার পর প্রশ্ন দেয়া হলে তা ডাউনলোড করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে ফটোকপি করা হয়। দৌলতপুরের প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফটোকপি মেশিন না থাকায় বোর্ডের প্রশ্ন সার্ভার থেকে ডাউনলোড করে বিভিন্ন বাজারে গিয়ে ফটোকপি করে পরীক্ষা শুরু করতে বেলা ১১টা পার হয়ে যায়। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা পড়ে চরম বিপাকে। সকাল ১০টার পরীক্ষা ১১টা বা তার পরে শুরু হলে শিক্ষার্থীদের হৈচৈ আর ঠেলাঠেলিতে পরীক্ষার সুষ্ঠ পরিবশে বিঘিœত হয়। সেই সাথে নষ্ট হয় শিক্ষার পরিবশে।

এছাড়াও বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ফটোকপির দোকান থেকে প্রশ্ন ফটোকপি করতে গেলে সেখান থেকে অনেক সময় প্রশ্ন ফাঁস হয়ে মোবাইল ফোনে শিক্ষার্থীদের নিকট পৌঁছে যায়। এছাড়াও দুর্গম চরাঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সবচেয়ে বেশী সমস্যার সন্মুখীন হয়। চরাঞ্চলে বিদ্যুতের ব্যবস্থা না থাকায় প্রশ্ন ফটোকপি করতে কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে অন্যত্র প্রশ্ন ফটোকপি করে পরীক্ষা নিতে হয়। তাছাড়াও অনেক সময় গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ না থাকলে প্রশ্ন ফটোকপি করাও সময়সাপেক্ষ হয়ে পড়ে। এতে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেয়ার মনোবল যেমন নষ্ট হয় এবং পরীক্ষা নিতে গিয়ে শিক্ষকবৃন্দ মানষিক সমস্যায় ভুগেন। তাই বিষয়টি ভেবে দেখার জন্য এবং সুবিবেচনার জন্য বোর্ড কতৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ ও ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার বিভিন্ন হাইস্কুলে গিয়ে দেখা গেছে বেলা ১১টার পরও অনেক স্কুল পরীক্ষা শুরু করতে পারেনি। গতকাল ছিল দশম শ্রেণীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ের পরীক্ষা ও নবম শ্রেণীর ছিল উচ্চতর গণিত বিষয়ের পরীক্ষা। মহিষকুন্ডি হাইস্কুলের আশরাফুল ইসলাম নামে এক শিক্ষক জানান, যশোর বোর্ডের সার্ভার থেকে প্রশ্ন ডাউনলোড করে ফটোকপির পর পরীক্ষা শুরু করতে প্রতিদিনই বেলা ১১টা পার হয়ে যায়। তিনি এ পদ্ধতির আরও আধুনিকরণ করার দাবি জানান। একই অভিযোগ দূর্গম চিলমারী চরের বিভিন্ন হাইস্কুলের শিক্ষকসহ দৌলতপুরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণের।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ